ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

অবশেষে জয়ের দেখা পেলো খুলনা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
অবশেষে জয়ের দেখা পেলো খুলনা রাজশাহী কিংসকে হারিয়ে প্রথম জয়ের স্বাদ পেলো খুলনা টাইটান্স-ছবি: বাংলানিউজ

টি-টোয়েন্টিতে ১২৯ রানের টার্গেট কঠিন কিছু নয়। কিন্তু এই টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ১ বল বাকি থাকতেই সব উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান তুলতে পারলো রাজশাহী কিংস। মূলত বোলারদের দাপুটে বোলিংয়েই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেলো খুলনা টাইটান্স। 

মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৮ রান সংগ্রহ করে খুলনা টাইটান্স। জবাবে জুনায়েদ খান, তাইজুল ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহ’র দাপুটে বোলিংয়ে ১০৩ রানে গুটিয়ে গিয়ে ২৫ রানে হেরেছে রাজশাহী কিংস।

খুলনার দেওয়া ১২৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ওপেনার লৌরি ইভান্সের (০) উইকেট হারায় খুলনা। তিনে নেমে যথারীতি ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালান রাজশাহী কিংসের অধিনায়ক মিরাজ। কিন্তু অপর প্রান্তে উইকেটের পতন তার সেই প্রচেষ্টা ভণ্ডুল করে দেয়।  

রাজশাহীর আরেক ওপেনার মুমিনুল হককে (৭) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। পরের ওভারেই মিরাজও বিদায় নেন তাইজুল ইসলামের বলে আরিফুল হকের ক্যাচ হয়ে হয়ে। আউট হওয়ার আগে ১৬ বল খেলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রান করেন মিরাজ, যা রাজশাহী ইনিংসের সর্বোচ্চ।

মিরাজের বিদায়ে রাজশাহীর ব্যাটিং লাইনআপ শুধু হতাশাই বাড়ায়। রায়ান টেন ডেসকাট (১৩), সৌম্য (২), জাকির হাসান (৭), জোনকার (১৫) কেউই দাঁড়াতে পারেননি খুলনার বোলারদের সামনে। শেষদিকে আরাফাত সানি (১৫) ও কামরুল ইসলাম রাব্বির (১৩) ছোট দুই ইনিংস শুধু হারের ব্যবধানই কমায়।  

বল হাতে রাজশাহীর অধিনায়ক মিরাজ ৪ ওভারে ২১ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। ২ উইকেট গেছে আরাফাত সানি ও ইসুরু উদানার দখলেও। তবে ২ উইকেট পেতে ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচ করেছেন লঙ্কান পেসার উদানা। বাকি উইকেটটি গেছে মোস্তাফিজের দখলে।

এর আগে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে সুবিধে করতে পারেনি খুলনাও। সর্বোচ্চ ২৬ রান এসেছে লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আরিফুলের ব্যাট থেকে। কিন্তু এই ইনিংস খেলতেও ২৭ বল খেলতে হয়েছে তাকে। চারের মার মাত্র ১টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান করেছেন ডেডিড মালান। তার স্ট্রাইক রেট তো ভয়াবহ (৭১.৪২)। ২১ বল খেলে ২ চারে ওই রান করেছেন তিনি। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও ১৩ বল খেলে মাত্র ৯ রান করে আরাফাত সানির শিকার হয়ে ফিরেছেন। খুলনার ৬ ব্যাটসম্যানের রান দুই অঙ্ক ছুঁয়েছে। আর তাতেই ২০ ওভারে ১২৮ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় খুলনা। কিন্তু বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ে শেষ হাসিটা হেসেছেন রিয়াদরাই।

বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান খরচে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন খুলনার স্পিনার তাইজুল। ৩ উইকেট পেয়েছেন পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খানও। তবে ২৬ রান খরচ করেছেন তিনি। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান খরচ করে ২ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বাকি উইকেট গেছে ডেভিড ওয়েইসের দখলে।

দুর্দান্ত বোলিং ঝলক দেখিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন খুলনার তাইজুল ইসলাম।

এটি চলতি আসরে খুলনার প্রথম জয়। তবে এই জয়েও পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই রইলো রিয়াদবাহিনী। অন্যদিকে আগের মতোই পাঁচে থাকা রাজশাহীর অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।