ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ক্রিকেট

রেকর্ড স্কোর তাড়া করে জিততে চায় বাংলাদেশ

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৮
রেকর্ড স্কোর তাড়া করে জিততে চায় বাংলাদেশ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন টাইগার কোচ রোডস (বামে) ও জিম্বাবুয়ে কোচ রাজপুত (ডানে)/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট: প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে বাংলাদেশের সামনে ৩২০ রানের টার্গেট দেয় সফরকারী জিম্বাবুয়ে। সেই লক্ষ্য নিয়ে সোমবার (০৫ নভেম্বর) বিকেলে ব্যাট হাতে নামেন লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস। এদিন বিকেলে আলোক স্বল্পতায় ম্যাচ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ১০.১ ওভারে বিনা উইকেটে ২৬ রান সংগ্রহ করেছেন দুই টাইগার ওপেনার।

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪র্থ দিন সকালে ফের ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ। কঠিন সমীকরণকে সহজ করতে ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাটিংয়ের কোনো বিকল্প নেই।

কেননা, জিম্বাবুয়ের ৩২০ রানের লক্ষ্য যে অনেক দূর। আর সেই লক্ষ্য তাড়া করবে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডসের মুখেও সেই আত্মবিশ্বাসের ছাপ। কেননা হাতে এখনো দু’দিন রয়েছে।

ফলাফল যেকোনো দিকে যেতে পারে বলে মনে করেন সফরকারী জিম্বাবুয়ের কোচ লালচাঁদ রাজপুতও। তার শিষ্যরা ৩২০ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করালেও ম্যাচের ভাগ্য নিয়ে সন্দিহান তিনি। তাই ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে বললেন, 'আমরা নির্ভার নই, ম্যাচের ভাগ্য যেকোনো দিকে ঘুরতে পারে। '
  
রোডস মনে করেন, বর্তমান লক্ষ্য তাড়া করে জিতলে রেকর্ড হবে। আর হারলে সিলেটের টেস্ট ভেন্যু হিসেবে অভিষেক টাইগারদের জন্য লজ্জার ইতিহাস হয়ে থাকবে। তবে তার ছেলেরা সেই লক্ষ্য তাড়া করে জিততে পারবে বলেই বিশ্বাস করেন তিনি।
 
রোডস আরও বলেন, 'এখনো দু’দিন বাকি রয়েছে। আমরা জেতার মানসিকতা নিয়ে খেলছি। যদিও ২৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করা কঠিন। কিন্তু হাতে দু’দিন সময় রয়েছে। তাই আমাদের সর্বোচ্চ স্কোরে পৌঁছাতে হবে। '

'আমি আমার কোচিং নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি আমার কোচিংয়ে আত্মবিশ্বাসী। আসলে ক্রিকেটে যেভাবে চান, তা সবসময়ই হয়ে ওঠে না। খেলোয়াড়রা সব ভালো। কিন্তু তারা যেভাবে খেলেছে, তাতে তারা খুব হতাশ ছিল। ১৪৩ রানের জন্য বোলিং করা একটি সুন্দর ফ্ল্যাট উইকেটে খুব হতাশাজনক। আমি মনে করি দিনটা ভালো ছিল না। তবে খেলোয়াড়রা অবশ্যই চেষ্টা করেছে। '
 
টাইগার কোচ বলেন, 'আজ লিটন ও ইমরুল দেখিয়েছে, বোলারদের সামলে খেললে ভালো করা যায়। আমরা খুব ভালো একটি জুটি আশা করছি। এটি করতে পারলে খেলা জেতা সম্ভব। খেলার সর্বোচ্চ স্কোরটি তাড়া করা কঠিন, তবে লক্ষ্যে পৌঁছানো অসম্ভব নয়। এটি অর্জনযোগ্য। '
 
'আমি মনে করি আমাদের টেস্ট দলের ব্যাটিং ফর্মের আরও উন্নতি করতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে দুই ম্যাচই বাংলাদেশের জন্য খুব কঠিন ছিল। ওটা বিদেশের মাটিতে। কিন্তু প্রথম ইনিংসে আমাদের হোম উইকেটে এমন হওয়া হতাশাজনক।
 
দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১ উইকেট তুলে নেওয়া তাইজুলের চমৎকার বোলিংয়ের প্রশংসা করেন কোচ। তবে মাত্র একজন পেসার নিয়ে খেলায় কিছুটা সমালোচনায় পড়তে হয়। এই সমালোচনার জবাবে রোডস বলেন, 'আসলে আমরা মাঠের অবস্থা বুঝতে পারিনি। উইকেটটা আমাদের একটু অবাক করে দিয়েছে। অনেক স্পিন হবে ভাবলেও তা ঘটেনি। '
 
'আমি বোলারদের দোষ দিতে পারি না। তৃতীয় স্পিনার হিসেবে অপু এসেছে। সেও গুরুত্বপূর্ণ উইকেট পেয়েছে। এছাড়া ৭ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে ভালো খেলেছে আরিফুল। '
 
অন্যদিকে সংবাদ সম্মেলনে জিম্বাবুয়ে কোচ রাজপুত বলেন, 'আমরা জেতার ব্যাপারে আশাবাদী। কিন্তু উইকেট নেওয়ার আগ পর্যন্ত নয়। কেননা, সিলেটের মাঠের উইকেট বেশ বৈচিত্র্যময়। যে কারণে আমাদের আরো বেশি রান করা উচিত ছিল। কিন্তু উইকেট পড়ে গেলো। তবে ৪র্থ দিনে পিচ থেকে বোলাররা বাড়তি সুবিধা নিতে পারে। '

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
এনইউ/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।