ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

এশিয়া কাপে সৌম্য-সৈকতদের পারফরম্যান্স চান আকরাম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৮
এশিয়া কাপে সৌম্য-সৈকতদের পারফরম্যান্স চান আকরাম ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারছেন না সৌম্য সরকার-ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল এখনও সিনিয়র ক্রিকেটার নির্ভরশীল। মাশারাফি, সাকিব, তামিম, মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকরা জ্বলে উঠতে না পারলে দলগতভাবে ব্যর্থ হয় টাইগাররা। উদাহারণ টানতে খুব বেশি দূরে যাওয়া দরকার নেই। সদ্য সমাপ্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও এই পঞ্চ পান্ডবের হাত ধরেই এসেছে বিদেশের মাটিতে অমূল্য সিরিজ জয়ের গৌরব।

একমাত্র মোস্তাফিজুর রহমান ছাড়া বাদ বাকি জুনিয়র টাইগার সদস্যরা ছিলেন রীতিমত ভোঁতা। কী ব্যাটে কী বলে।

যদিও শেষ টি-টোয়েন্টিতে লিটন দাসের ব্যাট জ্বলে উঠেছিলো। কিন্তু সে তো কালে ভাদ্রের ঘটনা।

কিন্তু দিনের পর দিন তো আর সিনিয়ররা পারফর্ম করে যাবেন না। তাছাড়া জয়টা যেহেতু দলগত পারফরম্যান্সের ফসল, সেহেতু জুনিয়রদেরও দায়িত্ব নেয়া অবশ্যই কর্তব্য। কাজেই আসন্ন এশিয়া কাপে সিনিয়রদের পাশাপাশি জুনিয়রদের কাছ থেকেও পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান।

‘জুনিয়ররা এখন পারফর্ম করছে না, কিন্তু ওরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে পারফর্ম করছে যা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সিনিয়রদের সাথে যদি জুনিয়ররাও পারফর্ম করতে পারে, তাহলে দল হিসেবে কিন্তু বাংলাদেশ শক্তিশালী হয়ে উঠবে। ’

১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এশিয়া কাপে আপাতত পাকিস্তানকেই ফেভারিট মানছেন আকরাম। কারণটিও বেশ স্পষ্ট। সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের হোম ভেন্যু। সেই বিবেচনায় তাদের এগিয়ে রাখাটা ভুল নয়। তবে খেলাটি যেহেতু ক্রিকেট তাই শেষ পর্যন্ত দৃশ্যপট বদলে বাংলাদেশও এই জায়গাটি নিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন সাবেক এই টাইগার সদস্য।

আশার কথা হলো এশিয়া কাপের গেল তিন আসরে তারা সেটা করে দেখিয়েছে। ২০১২ ও ২০১৬’র ফাইনালের মহারণে বুক চিতিয়ে লড়েছে। যদিও শেষ পর্যন্ত শিরোপা উঁচিয়ে ধরা হয়নি। বলবেন ওই দুটি আসরই দেশের মাটিতে হয়েছে তাই। কিন্তু বিদেশেও যে মাশরাফিরা পারফর্ম করে থাকেন সে কথা নিশ্চয়ই কারো অজানা নয়। মূলত সেই বলেই বলীয়ান আকরাম।

‘পাকিস্তান একটু এগিয়ে থাকবে। তারপরও যে কন্ডিশন থাকবে, সেখানে আমরা খেলে অভ্যস্ত। প্রত্যেক দলই সেখানকার কন্ডিশনে সহজে মানিয়ে নিতে পারবে। তো আমার কাছে মনে হয় না সেখানকার কন্ডিশন থেকে কেউ কোনো বাড়তি সুবিধা পাবে। সব নির্ভর করবে আপনি কিভাবে ম্যাচ গুলো খেলবেন। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ১৫ আগস্ট, ২০১৮ 
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।