ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ক্রিকেট

কিংবদন্তি বাবার ‘ফেরিওয়ালা’ ছেলে!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
কিংবদন্তি বাবার ‘ফেরিওয়ালা’ ছেলে! শচীন টেন্ডুলকারে ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার। ছবি: সংগৃহীত

বাবা একজন ক্রিকেট কিংবদন্তি। আর তার ছেলে একজন ফেরিওয়ালা! নাহ আসলে তেমন কিছুই নয়। শচীন টেন্ডুলকারের ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকারও কম যান না। ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলছেন। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে অর্জুনই হয়ে উঠেছেন পুরোদস্তুর ফেরিওয়ালা।

লর্ডসে চলছে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার পাঁচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। এই ম্যাচের দ্বিতীয় দিন স্টেডিয়ামের বাইরে দক্ষ ফেরিওয়ালার কাজ করেন অর্জুন।

ইংল্যান্ডে থাকা ভারতের অভিজ্ঞ স্পিনার হরভজন সিং হঠাৎই স্টেডিয়ামের বাইরে দেখতে পান অর্জুনকে। সঙ্গে সঙ্গেই ছবি তুলে ফেলেন।

আর শচীনপুত্রের সঙ্গে তোলা সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্টও করে দেন হরভজন। ছবির ক্যাপশনে লেখেন, ‘দেখুন, হোম অব ক্রিকেটে কে রেডিও বিক্রি করছে? ৫০টা বিক্রি হয়ে গেছে। তাড়াতাড়ি করুন। ভদ্র ছেলে জুনিয়র শচীনের কাছে মাত্র কয়েকটা রেডিও বাকি আছে!’

শুধু নিজের দলের সঙ্গেই অনুশীলনে ক্রিকেট জ্ঞান শেষ করেন না শচীনপুত্র। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নেট বোলার হিসেবেও প্রায়ই দেখা যায় অর্জুনকে। তাছাড়া গ্রাউন্সম্যানদের সঙ্গেও নানান কাজে সাহায্য করতেও দেখা গেছে তাকে। বাবা কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান হলেও ছেলে দৌড়ান বল হাতে। ফাস্ট বোলার অর্জুন এরই মধ্যে নজর কেড়েছেন। এত কিছুর পরেও কেনো রেডিও বিক্রি করছেন অর্জুন? কী এই রেডিও?

এই রেডিও মূলত ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড দর্শকদের জন্য বিক্রি করে থাকে। গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার সঙ্গে সঙ্গে ধারাভাষ্য শোনার জন্য এই রেডিও। বিবিসি রেডিও এবং সম্প্রচারকারী টিভি চ্যানেলের ধারাভাষ্যকারদের কথা শোনা যায় এই ছোট রেডিওর মাধ্যমে। দাম ১০ পাউন্ড। ইসিবি ইংল্যান্ডের যে সব মাঠে আন্তর্জাতিক খেলার আয়োজন করে থাকে, শুধুমাত্র সেই সব মাঠেই ধারাভাষ্য শোনা যায় এই রেডিওর মাধ্যমে।

১০ গ্রাম ওজনের এই রেডিওর সঙ্গে ঝুলানো থাকে একটি ফিতা। এই ফিতা দিয়েই সুবিধেমতো বাম অথবা ডান কানে লাগিয়ে রাখতে হয় রেডিও। চোখ দিয়ে খেলা দেখার পাশাপাশি শোনা যায় সাবেক ক্রিকেটারদের নানান আলোচনাও।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
এমকেএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।