ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

‘বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৮
‘বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছি’ ফাহিমা খাতুন-ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ‘নারী হিসেবে নয়, বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছি। অবশ্যই ভালো লাগছে, অবশ্যই অনুভূতিটা অন্যরকম। লক্ষ্য ছিল ভালো করার, তবে আশার থেকেও বেশি পেয়ে গিয়েছি। সতীর্থরা অনেক সাহায্য করেছে। ওদের সাহায্য ছাড়া হ্যাটট্রিক করা সম্ভব ছিলো না।’

বলছিলেন লাল সবুজের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্টিক করা ফাহিমা খাতুন। নেদারল্যান্ডসে সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়নের মুকুট জিতে সোমবার (১৬ জুলাই) দেশে ফিরে তিনি একথা বলেন।

বলা বাহুল্য, গেল ১০ জুলাই উট্রেক্টে তার করা হ্যাটট্রিকেই বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল পৌঁছে গিয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সেমিফাইনালে। ৪ ওভার বল করে মাত্র ৮ রানের বিনিময়ে সংযুক্ত আমিরাতের ৪ ব্যাটসম্যানকে নিজের শিকারে পরিণত করেছিলেন এই টাইগ্রেস লেগি। আগের ম্যাচেও ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন ৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের এটি প্রথম হ্যাটট্রিক। টি-টোয়েন্টিতে অষ্টম। বাংলাদেশ ছেলে দলের কারোর থলিতেই এমন অনন্য রেকর্ড নেই। নারী ক্রিকেটারদের ভেতরে বাংলাদেশের হয়ে এর আগে ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক করেছিলেন রুমানা আহমেদ। আগের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মেয়েদের ৪২ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। যেটি ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। পরের ম্যাচেই নতুন করে লেখা হলো সেই রেকর্ড। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে নিয়েছিলো ৬.৫ ওভারে।

তাই সতীর্থদের পাশাপাশি কোচদেরও ধন্যবাদ জানাতে কার্পণ্য করলেন না এই টাইগ্রেস স্পিন যাদুকর। ‘ওদেরকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়। নিজেও চেষ্টা করেছি, সেরাটা দেয়ার। আমার কোচ, সহকারী কোচও অনেক সাহায্য করেছেন। ’

অথচ টুর্নামেন্টের শুরুটা তার মোটেও ভাল হয়নি। এরপরর কী করে ছন্দে ফিরলেন বললেন সেই গল্পও।  ‘টুর্নামেন্টের শুরু থেকে ভালো বোলিং করিনি, উইকেট পাচ্ছিলাম না আসলে। তখন আলাদা করে কোচের সাথে কথা বলি। কোচের সাথে কথা বলি, যে আমি যেভাবে চিন্তা করছি সেভাবে হচ্ছেনা। তখন কোচ বললেন, 'এতো কিছু ভাবার কিছু নেই... তুমি হতাশ না হয়ে নিজের বোলিংটা করে যাও। অবশ্যই ভালো কিছু হবে। '

করেছেনও তাই। চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সে দলকে সেমিফাইনালে তুললেন এবং তা  নিজেদের করে নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। সেই আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করেই ফাইনালের মহারণে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের গৌরব লাভ করলো সালমা খাতুন শিবির।

চলতি বছরের নভেম্বরে ওয়েস্টি ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ১৬ জুলাই, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।