ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

প্রিয়জনদের চোখে ‘আমাদের কৌশিক’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১৮
প্রিয়জনদের চোখে ‘আমাদের কৌশিক’ প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে মাশরাফি বিন মুর্তজা

এই সময়টায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের কথা বললেই তার নামটি অবধারিতভাবে চলে আসে শুরুতে। অন্তত বিগত কয়েক বছরে গোটা বাঙালি জাতি ক্রিকেট ঘিরে যে বড় বড় উপলক্ষ উদযাপনের জন্য পেয়েছে, সেসব এসেছে তারই নেতৃত্বে। এই যে কাণ্ডারীর আসনে চলে এলেন, তার পেছনেও আছে সংগ্রাম-ত্যাগের অজস্র গল্প। সে গল্পগুলো বলতে গেলেই যেন তাকে খাটো করা হয়। তিনি নিজেই যে বলেন- দেশের জন্য এটুকুন দুঃখ-কষ্ট না সইলে তাদের কাছে কী জবাব থাকে, যারা প্রাণ উৎসর্গ করে দিয়ে গেছেন লাল-সবুজের একটি স্বাধীন পতাকা! বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমর্থকদের কাছে তার নাম যেন হয়ে গেছে ‘সাহস’, ‘উদ্যম’, ‘অনুপ্রেরণা’ ও ‘দেশপ্রেম’র মতো শব্দগুলোর সমার্থক। তিনি মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রিয়জনদের ‘কৌশিক’, আর লাল-সবুজের ক্রিকেটের ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’।
 
 

১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর তার জন্মের বারটা ছিল মঙ্গলবার। কথায় বলে ‘মঙ্গলে মঙ্গল আনে’।

এই কৌশিক যেন নড়াইলের মুর্তজা পরিবারের জন্য মঙ্গলের প্রতীক হয়ে এলেন। কেবল মুর্তজা পরিবার কেন, নড়াইল ছাড়িয়ে তিনি যে মঙ্গলময় ‘ব্র্যান্ড’ হয়ে এলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটেরও। মফস্বল নড়াইলের ছেলেটি বাংলাদেশের লাল-সবুজ রঙ গায়ে মেখে বিশ্ব ক্রিকেট মাতাবেন, ভেবেছিলেন প্রিয়জনদের কেউ? যদি ভেবে থাকেন, অথবা না থাকেন, তাহলে কৌশিককে দেখে কী মনে হতো তাদের? এখনকার মাশরাফিকে দেখেই বা কী মনে হয় তাদের? সেই গল্পটাই শোনা যাক মাশরাফির মা হামিদা মুর্তজা বলাকা, বাবা গোলাম মুর্তজা স্বপন, স্কুলশিক্ষক ইদ্রিস আহম্মেদ, ফিরোজ আহম্মেদ, বাল্যবন্ধু খন্দকার ফসিয়ার রহমান, সুমন দাস ও রবি দাসের মুখে। তারা বলেছেন শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য এবং পরিণত মাশরাফির গল্প। এই গল্প লিখেছেন মো. ইমরান হোসেন।
 
চিত্রায় সাঁতার কাটতে ভালোবাসতো মাশরাফি
হামিদা মুর্তজা বলাকা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই মাশরাফি খুব চঞ্চল ছিল। খেলা করতে, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে, আড্ডা দিতে, চিত্রা নদীতে সাঁতার কাটতে খুব পছন্দ করতো। প্রতিদিন স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে বইখাতা রেখে দৌঁড়ে চলে যেতো চিত্রা নদীর তীরে। সেখানে আগে থেকেই মাশরাফির জন্য ওর বন্ধুরা অপেক্ষা করতো। মাশরাফি গেলে সবাই একসঙ্গে নদীতে হৈ-হুল্লোড় করে অনেক সময় ধরে গোসল, জলকেলি করতো। মাশরাফি শুধু ক্রিকেটই নয়, সব খেলাতেই পটু ছিল। স্কুলে যখন বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হতো প্রতিটা খেলাতেই মাশরাফি ভাল করতো। প্রতিবছরই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে একাধিক পুরস্কার নিয়ে বাড়িতে আসতো মাশরাফি। ’
 
‘মাশরাফি যখন ভালো কিছু করে তখন মা হিসেবে কেমন লাগে আপনার?’ এ প্রশ্নের জবাবে এই রত্নগর্ভা মা বলেন, ‘সন্তান যখন ভাল কিছু করে তখন প্রতিটা মায়েরই ভাল লাগে। মাশরাফি যখন ভাল কিছু করে তখন আমারও খুব ভাল লাগে। আমি আল্লাহর কাছে সবসময় প্রার্থনা করি মাশরাফিরা যেন সবসময় অনেক ভাল খেলতে পারে। দেশকে অনেক ভাল কিছু উপহার দিতে পারে। দেশের সব ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ আগামী ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে আছে। ইনশাআল্লাহ আগামী বিশ্বকাপে আমাদের ছেলেরা ভালো কিছু উপহার দেবে দেশকে। দেশবাসীর কাছে মাশরাফিসহ দলের সব খেলোয়াড়ের জন্য দোয়া চাই। ’
 
তিন তলার ছাদ থেকে পড়েও কিছু হয়নি কৌশিকের
বাবা গোলাম মুর্তজা স্বপন বলেন, ‘আল্লাহর রহমত সবসময় মাশরাফির সঙ্গে আছে। ছোটবেলা থেকেই ও খুব চঞ্চল ছিল। যখন ১০ বছর বয়স তখন ও মামার বাড়ির তিনতলার ছাদে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে খেলা করতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ওর বন্ধুরা চিৎকার করে ওঠে। আমরা দৌড়ে গিয়ে মাশরাফিকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। ডাক্তার মাশরাফিকে দেখে বলে ওর কিছুই হয়নি। ডাক্তার ওকে ঘণ্টাখানেক বিশ্রামে রাখে। পরে বাড়িতে নিয়ে আসি। আল্লাহর রহমত আছে বলেই তিনতলার ছাদ থেকে মাটিতে পড়েও আমার কৌশিকের কিছুই হয়নি। এমনকি ওর শরীরের কোথাও কোনো ক্ষতও হয়নি। ’
 
মাশরাফি কখনও শিক্ষকের সঙ্গে বেয়াদবি করেনি
মাশরাফির নড়াইল সরকারি বালক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইদ্রিস আহম্মেদ বলেন, ‘ও আমার খুব প্রিয় ছাত্র ছিল। খুব মেধাবী না হলেও নিয়মিত স্কুলে আসতো। ক্লাসে এসে মাশরাফি সবসময় মাঝখানে বসতো। ছোটবেলা থেকেই ওর মধ্যে একটা নেতৃত্বের ভাব ছিল। ছাত্রদের কোনো দাবি-দাওয়া থাকলে মাশরাফিই সেটা আমাদেরকে প্রথমে জানাতো। স্কুলে যখন ঈদে মিলাদুন্নবী, ছাত্র ও শিক্ষকদের বিদায় অনুষ্ঠান হতো, মাশরাফি সবসময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে শিক্ষকদের সহযোগিতা নিয়ে অনুষ্ঠানগুলো করতো। যেদিন বৃষ্টি হতো দল বেঁধে আমার কাছে ফুটবল খেলার অনুমতি নিতে আসতো। ও খুব ভাল ফুটবল খেলতো। যখন আন্তঃস্কুল খেলা হতো, মাশরাফি সেই খেলায় অংশ নিতো। ছোটবেলা থেকে ও অনেক ভালো দৌড়াতে পারতো। স্কুলে যখন বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হতো মাশরাফি প্রতিবছরই একাধিক পুরস্কার পেতো। সে কখনও শিক্ষকদের সঙ্গে বেয়াদবি করেনি। ’
 
এখনও মাশরাফি প্রিয় এই শিক্ষকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। কিছুদিন আগে এই শিক্ষকের চাহিদা অনুযায়ী নড়াইল সরকারি বালক বিদ্যালয়ের মসজিদে একটি শীতাতপ যন্ত্র (এসি) কিনে দিয়েছেন তিনি।
 
জেতার জন্য দারুণ জেদ ছিল মাশরাফির
মাশরাফির প্রতিবেশী এবং স্কুলশিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, ‘মাশরাফি ছোটবেলায় অনেক ভালো ব্যাডমিন্টন খেলতো। ও মামার বাড়ির পেছনের বাগানে প্রতিদিনই বন্ধুদের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলতো। একদিন আমরা ওর খেলা দেখছি। সেদিন সন্ধ্যার একটু আগে মাশরাফি ওর বন্ধুর কাছে একবার হেরে গেল। হেরে যাওয়ার পর দেখি রেগে ওর চোখ-মুখ লাল হয়ে গিয়েছে। ওর বন্ধু ওকে হারানোর পর বাড়ি যেতে চায়, কিন্তু মাশরাফি কিছুতেই ওর ওই বন্ধুকে বাড়িতে যেতে দেবে না। আবারও মাশরাফির সঙ্গে খেলতে হবে। আবার শুরু হল খেলা। এদিকে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় মাশরাফির নানী মাশরাফিকে বারবার ডাকছেন বাড়ি যেতে। কিন্তু মাশরাফি তার বন্ধুকে পরাজিত না করে কিছুতেই বাড়ি ফিরবে না। শেষ পর্যন্ত বন্ধুকে হারিয়ে তবেই রাত করে সেদিন বাড়ি ফেরে মাশরাফি। ’
 
আর্জেন্টিনার খেলা না দেখে ঘুমাতে দিতো না মাশরাফি
মাশরাফির বাল্যবন্ধু খন্দকার ফসিয়ার রহমান বলেন, ‘মাশরাফি ছোটবেলা থেকেই দিয়েগো ম্যারাডোনার ভক্ত। আর ম্যারাডোনার খেলা অনেক পছন্দ করে বলেই সে বরাবরই আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের সাপোর্টার। আমরা বন্ধুরা বেশিরভাগই আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। যেদিন আর্জেন্টিনার খেলা থাকতো সেদিন আমরা কোনোভাবেই খেলা দেখা মিস করতাম না। যত রাতেই খেলা হোক, আর্জেন্টিনার খেলা না দেখে ও কোনো দিন ঘুমাতো না। কোনো বন্ধু যদি ঘুমাতে চাইতো তাহলে মাশরাফি তাকে ঘুমাতে দিতো না। যেদিন আর্জেন্টিনা জিতে যেত সেদিন রাতে আমরা সবাই মিছিল বের করতাম। বেশিরভাগ খেলা আমরা মাশরাফিদের বাড়িতেই দেখতাম। মাশরাফির মা এবং ছোট ভাইও আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। কিন্তু ওর বাবা ব্রাজিলের খুব ভক্ত। বিশ্বকাপ খেলা শুরু হওয়ার আগেই মাশরাফির বাবা বাড়িতে ব্রাজিলের পতাকা টানাতেন আর মাশরাফির সঙ্গে আমরা আর্জেন্টিনার পতাকা টানাতাম। ও প্রতিবারই আর্জেন্টিনার ৩-৪টা পতাকা বানাতো। প্রথমে বাড়িতে একটা পতাকা টানাতো। এরপর ওর মামার বাড়িতে এবং ওর স্কুলের সামনে পতাকা টানাতো। বিশ্বকাপ খেলায় যেদিন আর্জেন্টিনার খেলা থাকতো সেদিন মাশরাফির সঙ্গে আমরা বন্ধুরা রাত জেগে হৈ-হুল্লোড় করে খেলা দেখতাম। খেলাশেষে গভীর রাতে বন্ধুরা মিলে খিচুড়ি রান্না করে খেতাম। দিনের বেলায় আর্জেন্টিনার সাপোর্টাররা আর ব্রাজিলের সাপোর্টাররা ফুটবল খেলতাম। মাশরাফি ছোটবেলায় ফুটবল খেলায়ও অনেক ভালো ছিল। ’
 
মাশরাফির সঙ্গে কেউই গাছ বেয়ে ওঠায় পেরে উঠতাম না
মাশরাফির আরেক বাল্যবন্ধু সুমন দাস বলেন, ‘আমরা বন্ধুরা প্রতিদিন মাশরাফির সঙ্গে শহরের আলাদাৎপুরের কুণ্ডুদের ঘাটে আড্ডা দিতাম। প্রতিদিনই চিত্রা নদীতে গোসল করতাম। গোসল করার আগে নদীর পাড়ে গাছে উঠে পাল্লা দিতাম। মাশরাফির সঙ্গে আমরা কেউই গাছে ওঠায় পেরে উঠতাম না। মাশরাফি এক গাছে উঠে আর এক গাছ বেয়ে মাটিতে নামতো। এরপরই নেমে পড়তাম চিত্রা নদীতে গোসল করতে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদীতে গোসল, দাপাদাপি করতাম। নদীতে সাঁতার কেটে প্রতিদিনই ওপারে যেতাম। একসঙ্গে আমরা সবাই রওনা করতাম ওপারে যাওয়ার জন্য। মাশরাফি আমাদের সবার আগে নদীর অন্য পাড়ে চলে যেতো। ও আমাদের চ্যালেঞ্জ করতো প্রবল স্রোতের মধ্যেও সে সোজাসুজি নদীর অন্য পাশে যাবে। অনেক স্রোতের মধ্যেও মাশরাফি ঠিকই সোজাসুজি নদী পার হতো। এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যে মাশরাফি ওপাশে গিয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করতো। স্রোতের জন্য আমরা অনেক দূরে গিয়ে নদী পাড়ি দিতাম। স্রোত আমাদের ভাসিয়ে অন্য দিকে নিয়ে যেতো। খুব কষ্ট হত আমাদের। কিন্তু ও অনেক আগেই পৌঁছে যেতো সেখানে। আমরা পৌঁছানোর পরে একটু বিশ্রাম নিয়ে সাঁতার কেটে আবার এপাশে চলে আসতাম। আমাদের মধ্যে কোনো বন্ধু যদি সাঁতার কেটে এপারে আসতে না পারতো তাহলে মাশরাফি তাকে কাঁধে করে সাঁতার কেটে এপারে নিয়ে আসতো। ’
 
মাশরাফি মানুষ নয়, মহামানবদের একজন
মাশরাফির বাল্যবন্ধু রবি দাস বলেন, ‘মাশরাফি, সঞ্জীব, রাজু, সুমন, রিমন, পলাশ, বিপ্লব, শিমুল, অসীমসহ আমরা ১০-১২ জন সবসময় একসঙ্গে হেসে-খেলে বেড়াতাম। মাশরাফির নেশা ছিল বয়েজ স্কুলের খেলার মাঠ আর চিত্রা নদী। দিনের বেশিরভাগ সময় আমরা নদীর কূলে এবং নদীতে গোসল করে সময় কাটাতাম। দুপুর গড়ালেই মাশরাফি বয়েজ স্কুলের মাঠে খেলতে যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে উঠতো। আমরা বন্ধুরা বেশির ভাগই আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। ছোটবেলায় আমরা অনেক মার খেয়েছি তবু ব্রাজিলের পক্ষে যাইনি। ব্রাজিলের সাপোর্টারদের সঙ্গে আমাদের মারামারি হতো। মাশরাফির এককথা আর্জেন্টিনাকেই সাপোর্ট করবো। এখনও আমরা আর্জেন্টিনাকেই সাপোর্ট করে চলেছি। ’
 
‘মাশরাফি অনেক বড় খেলোয়াড় হয়েছে। আমরা মাশরাফিকে নিয়ে গর্ব করি। ও সবসময় আমাদের বন্ধুদের সবার খোঁজ-খবর নেয়। বিপদে-আপদে সবসময় পাশে থাকে। বিদেশে গেলেও আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। ঈদ-পূজা এলে আমাদের বন্ধুদের জন্য উপহার নিয়ে আসে। যত ব্যস্তই থাকুক একবার ফোনকল দিলেই কল রিসিভ করে। আমাদের অনেক বন্ধুর চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছে মাশরাফি। অনেককে ব্যবসা করতে টাকাও দিয়েছে। আমার পরিবারকে মাশরাফি সবসময় সাহায্য করে। আমার বোনকে মাশরাফি নিজের টাকা খরচ করে বিয়ে দিয়েছে। বোনের স্বামীকে ব্যবসা করার জন্য অনেক টাকা দিয়েছে। মাশরাফির কাছে আমাদের কিছুই চাওয়া লাগে না। মাশরাফি নিজে থেকেই আমাদের অনেক কিছু দেয়। মাশরাফি মানুষ নয়, মহামানবদের একজন। ’
 
এক নজরে মাশরাফি
১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর নড়াইল শহরের আদালতপুরে নানার বাড়িতে জন্ম মাশরাফির। নড়াইল শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি শেষ করে নড়াইল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন মাশরাফি। নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি পাশের পর ঢাকায় এসে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ নেন ‘ম্যাশ’। ২০০৬ সালে নড়াইলের মেয়ে সুমনা হক সুমিকে বিয়ের পর তাদের ঘর আলোকিত করে এসেছে এক মেয়ে ও এক ছেলে। ২০০১ সালের নভেম্বরে অভিষেকের পর মাশরাফি এখন পর্যন্ত (জুন ২০১৮) টেস্ট খেলেছেন ৩৬টি, ওয়ানডে খেলেছেন ১৮৭টি। টি-টোয়েন্টি থেকে ‘অবসর ঘোষণা’ করা মাশরাফি টেস্টে অনিয়মিত হলেও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাননি। তিনি এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাতীয় ওয়ানডে দলকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৮

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।