ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

‘গোলের বিনিময়ে খাদ্য’ নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৩ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০১৮
‘গোলের বিনিময়ে খাদ্য’ নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড় মেসি ও নেইমার। ছবি: সংগৃহীত

মেসি ও নেইমারের করা প্রতিটি গোলে দশ হাজার স্কুলপড়ুয়া শিশুর জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা হবে, এমন ঘোষণা দিয়েছিল মাস্টারকার্ড। এমনকি রাশিয়া বিশ্বকাপে করা গোলও এ উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত থাকবে। কিন্তু এ ঘোষণার পর উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

মাস্টারকার্ডের এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন আর্জেন্টিনা তারকা মেসি ও ব্রাজিলের তারকা নেইমার। এমনকি সাংবাদিকদের সামনে ব্রাজিলের কোচও এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, মাস্টারকার্ড আমি তোমাদের কিছু বলতে চাই।

তোমাদের এই দাতব্য কাজ খুবই প্রশংসনীয়। আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা গোল করলেই শিশুরা খাদ্য পাবে, ভাবতেই ভালো লাগছে।

তবে সাধারণ মানুষ এই উদ্যোগকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি। অনেকে বলছেন, তবে কি মেসি-নেইমার গোল না করলে এসব বাচ্চারা খাবার পাবে না! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে মাস্টারকার্ডকে উদ্দেশ্য করে অনেকেই করেছেন সমালোচনা।

জো বেক নামে এক ব্যক্তি এ উদ্যোগকে ব্যাঙ্গ করে লিখেছেন, দুঃখিত বাচ্চারা, আজকে ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি) গোলটি বাতিল করেছে, আজ আর খাওয়া নেই।

ম্যারাথন দৌড়বিদ রবি ব্রিটন লিখেছেন, তার মানে কি গোলকিপার তার দক্ষতায় হঠাৎ করে বল থামিয়ে দিলে, বাচ্চাদের মুখের খাবারও থেমে যাবে? কি হাস্যকর!

অ্যাবেন বেল নামে একজন লিখেছেন, শিশুদের খাবার নিয়েও খেলা শুরু হলো!

তাছাড়া অনেকেই মাস্টারকার্ড বর্জনেরও দাবি জানিয়েছেন।

মাস্টারকার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো,  মেসি ও নেইমারের করা প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রতিটি গোলের বিপরীতে দশ হাজার শিশুর খাবার জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে (ডব্লিউএফপি) দান করবে তারা।

‘টুগেদার উই আর ১০’ নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে গত এপ্রিলে এই উদ্যোগের সূচনা করে মাস্টারকার্ড। আগ্রহীরাও এই উদ্যোগে দান করতে পারেন। এজন্য #JuntosSomos10 এই হ্যাশট্যাগ টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে ব্যবহার করে কিংবা মাস্টারকার্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি দান করা যাবে।

এক্ষেত্রে প্রতিবার হ্যাশট্যাগের বিনিময়ে একজন স্কুলপড়ুয়া শিশুর জন্য খাবার দান করবে মাস্টারকার্ড। আর যদি কেউ সরাসরি মাস্টারকার্ড থেকে দান করেন তাহলে তার বিপরীতে দশজন স্কুলপড়ুয়া শিশুর জন্য খাবার দান করবে প্রতিষ্ঠানটি। এ উদ্যোগের আওতায় এরইমধ্যে তিন লক্ষ স্কুলপড়ুয়া শিশুর জন্য খাদ্য বিতরণ করেছে মাস্টারকার্ড।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৮

এমকেএম/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।