ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

আফগানিস্তানের কাছে পাত্তাই পেলো না বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৭ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৮
আফগানিস্তানের কাছে পাত্তাই পেলো না বাংলাদেশ বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের মুখাবয়বই বলে দিচ্ছে আফগানদের বিপক্ষে কেমন ছিল শুক্রবারের ম্যাচ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ছাড়ার আগে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেই গিয়েছিলেন, সিরিজে আফগানিস্তানই ‘ফেভারিট’! তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরে সে কথাই যেন ‘প্রমাণ’ করলেন সাকিবরা। আফগানিস্তান বলতে গেলে একবারে উড়িয়েই দিয়েছে টাইগার দলকে।

শুক্রবার (১ জুন) রাতে ভারতের দেরাদুনের মাঠে বাংলাদেশের বেঁধে দেওয়া ১৪৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দুই উইকেট হারিয়ে ১৬ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানরা।

আফগানিস্তানের মতো নবীন ক্রিকেট দলের কাছে এতো বড় হারটা ‘লজ্জা’ কি-না, তার উত্তর যেন স্কোরবোর্ডই দেয়।

মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ২২ বলে ৩৮ রানের ইনিংসটিই বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ স্কোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর মুশফিকুর রহিমের, ৩২ বলে ২৭ রানের। তার আউট হওয়াটাও ছিল বেশ আলোচনার। তিনবার রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বেঁচে গেলেও চতুর্থবারে শর্ট থার্ডম্যানে ধরা পড়েছেন।

যে বোলিংটার কাছে বাংলাদেশ দল এতো ভেঙে পড়লো, সে আক্রমণে আবার ছিলেন না রশিদ খান বা মুজিবুর রহমানরা। তারা না নামার পরেই এই অবস্থা, তারা নামলে? সে প্রশ্নটা যেন আরও পোক্ত করলেন ২ রানে সৌম্য সরকার আউট হয়ে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ-সাব্বির রহমানরাও দাঁড়াতে পারেননি বেশিক্ষণ।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে বাংলাদেশ ১৪৫ রান জোগাড়ের পর আফগানদের টার্গেট দাঁড়ায় ১৪৬। প্রথম ওভারেই আবু জায়েদ রাহি ভেঙে দেন ওপেনিং পার্টনারশিপ। পঞ্চম ওভারে ২২ রানের মাথায় পড়ে আরও একটি উইকেট, নেন আবু হায়দার রনি। ব্যস, এখানেই শেষ বাংলাদেশের হাসি, এরপর কেবল বল কুড়োনোর কাজটা করতে পারলেন বাংলাদেশিরা। হযরতউল্লাহ জেজাই ও মোহাম্মদ নবীদের এতো মারকুটে ব্যাটিংয়ের মধ্যে পেছাতে পেছাতে সাকিব বল হাতে নেন ১৪তম ওভারে। এতো পরে এসেও রেহাই মেলেনি, তার বলকেও বেধড়ক পিটুনি দিতে থাকেন জেজাই-নবীরা। শেষতক ১৭তম ওভারে, ১৬ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে আফগানরা।

৩ জুন রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে শুরু হবে তিন ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টির প্রথমটি। একই ভেন্যুতে ৫ জুন দ্বিতীয়টি ও ৭ জুন শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। ১ জুন রাতে বাংলাদেশ যে ‘শিক্ষা’ পেলো, তা শোধরাবার বা ভুলবার ফুসরৎ মাঝে ২ জুন (শনিবার), ‘শনির দশা’টা এই বারে কেটে গেলে রোববার (৩ জুন) নতুন বাংলাদেশকে দেখা যাবে, সে প্রত্যাশা করতে পারেন কোর্টনি ওয়ালশ।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৫২ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৮
এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।