ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ক্রিকেট

রুমানাদের সুদিনের বার্তা দিতে এসেছেন দেবিকা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
রুমানাদের সুদিনের বার্তা দিতে এসেছেন দেবিকা দেবিকা পালশিখর-ছবি: শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের জন্য সুখবর বৈকি। নতুন কোচিং স্টাফ এসেছেন তাদের উন্নতির বার্তা দিতে। নাম দেবিকা পালশিখর। হেড কোচ ডেভিড ক্যাপেলের সহকারি হিসেবে বুধবার (১১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবিতে যোগ দিয়েছেন।

পুনের মেয়ে দেবিকার ১৯৯৮ সালে পেশাদার ক্রিকেটের হিসেবে পথ চলা। যা অব্যাহত ছিল ২০১১ সাল পর্যন্ত।

১৩ বছরের ক্যারিয়ারে খেলেছেন ভারত নারী ক্রিকেট দলের হয়ে। সময়টা ছিল ২০০৬-২০০৮ পর্যন্ত।

ক্রিকেটের পাশাপাশি দেবিকা রপ্ত করেছেন কোচিংও।

যেন খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ারের ইতি টানলেও ক্রিকেটের সাথে সম্পর্কটা অটুট থাকে। সেটা শুধু আছে না বেশ শক্তপোক্ত ভাবেই আছে এবং থাকবেও। কেননা ৯ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে সহকারি কোচ হয়ে ইতোমধ্যেই দুই বছর (২০১৪, ২০১৫) ভারত নারী ক্রিকেট শিবিরে কাটিয়ে আসার অভিজ্ঞতা তার হয়েছে। ব্যাটিং, বোলিং, ফির্ল্ডিং, শিষ্যদের যখন যেটা প্রয়োজন শিখিয়েছেন।

ফলে ক্রিকেটের তিন বিভাগেই নিজেকে দক্ষ করে তোলার সুযোগ পেয়েছেন সাবেক এই ক্রিকেটার। ফিটনেসও শেখাতে জানেন। আর কী লাগে! তাই তো এত আত্মবিশ্বাস তার। রুমানা, জাহানারদের উন্নতিকল্পে হেড কোচ ডেভিড ক্যাপেল তাকে যে বিভাগের দায়িত্বই দিক, তিনি পারবেন। দেবিকা পালশিখর-ছবি: শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমবুধবার (১১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া লাউঞ্জে প্রথম সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন দেবিকা। ‘ভারতে আমি তিনটি বিভাগ নিয়েই কাজ করেছি। এখানে প্রধান কোচ আছেন। উনি যে জায়গায় মনে করবেন, আমার যে সাহায্য দরকার, আমি তা করতে প্রস্তুত আছি। আমি তিনটি বিভাগেই কাজ করতে প্রস্তুত। ’

ভারত নারী দলের কোচ হলেও বাংলাদেশ সম্পর্কে বেশ ভালই খোঁজ রাখেন দেবিকা। থাকাটাই স্বাভাবিক। কেননা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আসরে নিজ দলের সাথে বাংলাদেশের লড়াই তিনি দলের সদস্য হয়ে দেখেছেন। তাই লাল-সবুজের নারী দলের শক্তিমত্তা ও দুর্বলতা তিনি বেশ ভালভাবেই জানেন। এও জানেন কী করলে তাদের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠে সুদিন আনা যাবে।

‘গত ছয় সাত বছর ধরে আমি বাংলাদেশ দলকে দেখেছি। তাদের মধ্যে শক্তি ও আত্মবিশ্বাস আছে। আমার মনে হয় তাদের মধ্যে কিছুটা কৌশলগত ও দলীয় প্রচেষ্টার অভাব আছে। আপনি যখন আরো বড় জায়গায় খেলতে যাবেন, আপনাকে মানসিকভাবে আরো শক্ত হতে হবে। ’

সেই উন্নতিটা কতখানি? তিনি কী পারবেন আসন্ন বিশ্বকাপের আসরে শিষ্যদের নিয়ে যেতে? সাংবাদিকের করা এমন প্রশ্নের জবাব সরাসরি দিলেন না দেবিকা। তবে যেটুকু বললেন তাতে এটা স্পষ্ট শিষ্যদের উন্নতি তিনি করেই ছাড়বেন।

‘উন্নতি যে হবে, সেটা আমি নিশ্চিতভাবেই আশা করতে পারি। ফলাফলটা নিয়ে আমি মন্তব্য করতে পারবো না। তারা যদি প্রসেস ঠিক রাখে… ফলাফলট আসলে কারো হাতে নেই। আমরা জানি, ক্রিকেট খুবই অনিশ্চিত খেলা। যা কিছু হতে পারে। ’দেবিকা পালশিখর-ছবি: শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমবিসিবির সাথে তার চুক্তি ডিসেম্বর পর্যন্ত। এত অল্প সময়ে সত্যিকার অর্থে একটি দলের কতটুকু উন্নতি করা সম্ভব? দেবিকা বললেন এত সময় লাগে না।  ‘আমি যদি দ্রুত মেয়েদের বুঝতে পারি, তাহলে পরিবর্তন আনতে খুব বেশি সময়ের দরকার নেই। তবে তাদের সঠিক কাজটা করার ইচ্ছে থাকতে হবে। সময় খুব বড় ব্যাপার নয়। তারা যদি প্রস্তুত থাকে, তাহলে উন্নতি হবে। ’

কোচ হিসেবে ভারতের জাতীয় দলের বাইরে তিন বছর করে আসাম ও মুম্বাই দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন পুনের সাবেক এই নারী ক্রিকেটার।

বাংলাদেশে আসার আগে ছিলেন গোয়ার কোচ। সব মিলিয়ে নয় থেকে দশ বছরের অভিজ্ঞতা তার আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ১১ এপ্রিল, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।