ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

গরমে ক্রিকেট নয়, আসছে আইসিসির গাইড লাইন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১৮
গরমে ক্রিকেট নয়, আসছে আইসিসির গাইড লাইন ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সফরে আসা ইংল্যান্ড দলের ক্রিকেটাররা প্রচণ্ড গরমের মধ্যে অনুশীলন করছিলেন-ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

গতবছরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের কথা মনে আছে? এপ্রিল মাসে শুরু হয়ে শেষ হয়েছিল মে মাসে।দেশে গরম তখন চরমে। মিরপুর, ফতুল্লা, বিকেএসপি যেখানেই ম্যাচ কাভার করতে গিয়েছি দেখেছি ম্যাচ শেষে ক্রিকেটাররা আইস বাথ নিচ্ছেন।

উপায়ও নেই। সারাদিন প্রখর রোদে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ের পর শরীরের ভেতরে ঢুকে যাওয়া গরম থেকে অব্যাহতি পেতে এর বিকল্পই বা কী?

আছে।

সেদিকেই হাঁটবে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি। কেননা ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যগত বিষয়টিকে মাথায় রেখে অনতিবিলম্বেই একটি গাইড লাইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসি।

যা প্রণীত হবে সংস্থাটির গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নিরক্ষীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য। যেখানকার ঘরোয়া ক্রিকেট মাঠে গড়ায় গ্রীষ্মের তাপদাহে। বাংলাদেশের কথাই ভাবুন না। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শেষ হলো গেল বৃহস্পতিবার। তা-ও ভালো এপ্রিলের শুরুতে শেষ হয়েছিল বলে রক্ষা। তারপরেও.. গরমের বালাই কম ছিলো ?

কিন্তু লংগার ভার্সনের খেলা বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ-বিসিএলে কী হবে? ১০ এপ্রিল থেকে শুরু ৪, ৫ ও ৬ রাউন্ডের খেলা। প্রচণ্ড এই গরমে কাজটি কতটা চ্যালেঞ্জিং! হিট স্ট্রোক হতে পারে, হতে পারে গরমজনিত আরও নানাবিধ অসুখ।

যদিও চরম গরমে খেলা দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের নতুন কোনো চিত্র নয়। অনন্তকাল ধরে চলে আসছে। বাংলাদেশের মতো প্রখর তাপদাহের ভেতরে ক্রিকেট চালু আছে বহু দেশে। তাই স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির দিকটি মাথায় রেখে এগিয়ে আসছে আইসিসি।

বিষয়টি সম্পর্কে সম্যক অবগত হওয়ার পর বিসিএলের আগেই প্লেয়ারদের গরমে করণীয় বাতলে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। রোববার (৮ এপ্রিল) সে কথাই সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন বাংলোদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী।

দেবাশীষ বলেন,‘এই ব্যাপারে তাদের কিছু দিক নির্দেশনা দেয়া আছে। যেমন পিপাসা পেলে পানি খেলে হবে না, ঘড়ি ধরে একটা নির্র্দিষ্ট সময় পর পর পানি খেতে হবে। পিপাসা পাক, না পাক। প্রস্রাবের রংটা গুরুত্বপূর্ণ। রংয়ের ওপরে নির্ভর করে আমাদের ডিহাইড্রেশন স্ট্যাটাস। সেটা যতক্ষণ স্বাভাবিক না হচ্ছে পানি খেয়ে যেতে হবে। ক্লোদিংটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যত হালকা রংয়ের কাপড় পরা যায়, যত ঢিলাঢালা কাপড় পরা যায়।  যেন আমাদের গায়ের মধ্যে একটা স্পেস থাকে। ’

বিসিবির অভিজ্ঞ এই চিকিৎসকের মতে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি কমাতে প্রয়োজনে ক্রিকেট ক্যালেন্ডার ও সময়ে পরিবর্তন আনা। স্বাস্থ্যকে যদি আমরা মূল ইস্যু হিসেবে ধরি, তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যকে কেন্দ্র করেই ক্যালেন্ডার হওয়া উচিৎ। খেলা শুরু ও শেষ হওয়ার দিকে আমরা নজর দিতে পারি। অনেক দেশেই সেটা পরীক্ষামূলকভাবে করা হচ্ছে। সকাল ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত দিনের সবচাইতে গরম সময় থাকে। সো খেলার সময়টা অনেক দেশেই এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। ’

অনেক দেশ যদি পারে বাংলাদেশের পারতে নিশ্চয়ই কোনো অসুবিধা নেই। আখেরে তা ক্রিকেটারদের জন্যই মঙ্গল। আর ক্রিকেটারের মঙ্গল মানেই এ দেশের ক্রিকেটের জন্য তা মঙ্গল। বিষয়টি ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাব্যক্তিরা অনুধাবন করতে পারলেই হলো। না মেনেও উপায় নেই। কেননা আসছে আইসিসির নির্দেশনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ৮ এপ্রিল, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।