ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

বাংলাদেশের উইকেট নির্বাচনে অবাক রোশেন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৮
বাংলাদেশের উইকেট নির্বাচনে অবাক রোশেন ব্যাট উঁচিয়ে রোশেন ডি সিলভা/ ছবি: শোয়েব মিথুন

ঢাকা: টেস্ট ক্রিকেটে উপমহাদেশে স্বাগতিক দলগুলো সিরিজে তখনই স্পিন বান্ধব উইকেট দেয় যখন প্রতিপক্ষ থাকে উপমহাদেশের বাইরের কোনো দল। ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দল যেহেতু উপমহাদেশের স্পিনিং কন্ডিশনে তুলনামূলক দুর্বল তাই তাদের ঘায়েল করতে বানানো হয় স্পিনিং পিচ।

সিরিজ উপমহাদেশেরই দুটি দলের মধ্যে হলে সেখানে তারাই প্রভাব বিস্তার করবে যারা ওই বিভাগে শক্তিশালী। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার চলমান টেস্ট সিরিজেও ঠিক তেমন উইকেটই দেয়া হয়েছে এবং সেখানে অনুমিতভাবেই এগিয়ে লঙ্কানরা।

উইকেট নির্বাচনে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এমন নির্বুদ্ধিতায় কিছুটা অবাক হয়েছেন লঙ্কান মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান রোশেন ডি সিলভা।

সেটা অবান্তর কিছুও না। সাকিবহীন বাংলাদেশে স্পিনার বলতে বাঁহাতি আব্দুর রাজ্জাক, তাইজুল। আর অফস্পিনার মিরাজ। রাজ্জাককে বাদ দিলে অভিজ্ঞ বলতে আছেন তাইজুল। পক্ষান্তরে শ্রীলঙ্কার স্পিন বেশ বৈচিত্র্যময়, অভিজ্ঞতাও তারা এগিয়ে। এক রঙ্গনা হেরাথেরই টেস্টে উইকেট সংখ্যা ৪শ’র বেশি। তাও মাত্র ৮৮ ম্যাচে। দিলরুয়ান পেরেরার প্রথম শ্রেণীতে উইকেট সংখ্যা ৭শ’। আকিলা ধনঞ্জয়ও ভালো বল করছেন। তাইতো সিলভার এমন উক্তি।

‘আমাদের দেশে আমরা এমন উইকেটেই খেলি। আমি ভেবেছিলাম এটা ব্যাটিং উইকেট হবে। উপমহাদেশে যখন অস্ট্রেলিয়া বা অন্য কোনো দেশ খেলতে আসে তখন আমরা স্পিন উইকেট দিয়ে থাকি। আমি বুঝতেই পারছি না কেন এমন উইকেট দেয়া হলো। ’

এমন উইকেটে খেলতে পূর্ব প্রস্তুতি অনেক আগেই সেরে রেখেছেন বলেও সাফ জানিয়ে দিলেন রোশেন ডি সিলভা। তিনি বলেন, উপমাহাদেশে আপনাকে অবশ্যই স্পিন এবং রিভার্স সুইংয়ের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজে গেলে সেখানে পেস আক্রমণ দেখবেন। আমরা এখানে আসার আগে কঠোর পরিশ্রম করেছি। কেমন উইকেটে খেলতে হবে সেটা আমরা জানতাম। বিশেষ করে আমার মানসিক প্রস্তুতি ছিল।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বলা রোশেনের কথায় এটা স্পষ্ট- আর যাই হোক ম্যাচটিতে প্রথশ ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও তারাই প্রভাব বিস্তার করবে। তার শরীরি ভাষা দেখে আরও একটি বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে- জয়ের সুবাস তারা ইতোমধ্যেই পেতে শুরু করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮
এইচএল/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।