ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

এমসিসির সভায় সতর্কবার্তা দিলেন সাকিবরা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
এমসিসির সভায় সতর্কবার্তা দিলেন সাকিবরা এমসিসির সভায় সতর্কবার্তা দিলেন সাকিবরা-ছবি:সংগৃহীত

ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে খুব দ্রুতই খেলোয়াড়দের বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। অন্যথায় বেশিরভাগ ক্রিকেবটাররাই দেশের থেকে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট গুলোকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া শুরু করবে, মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) বার্ষিক সভায় এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। যেখানে এই কমিটিতে বাংলাদেশ থেকে প্রথম কোনো ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন সাকিব আল হাসান।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে মঙ্গলবার ও বুধবার এই সভায় যোগ দিয়ে এমসিসি কমিটিকে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের ক্রিকেটের শঙ্কার কথা জানান সাকিব।

পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে উপার্যন করা অর্থে ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টো আর সাকিবের বৈষম্যের কথা জানিয়ে এমসিসি সতর্ক করে।

বলা হয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের বেতনের যে বৈষম্য রয়েছে, তা কমানো না গেলে দেশের হয়ে খেলার আগ্রহ হারাবে ক্রিকেটাররা। এমনকি স্পট ফিক্সিংয়ের মতো দুর্নীতিও কমানো যাবে না।

এমসিসির কমিটিতে সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন রিকি পন্টিং, ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম, কুমার সাঙ্গাকারারা। সভায় সাকিবের দাবি, বাংলাদেশের অনেক তরুণ ক্রিকেটারই এখন টেস্ট ক্রিকেটকে তাদের ভবিষ্যত হিসেবে দেখেন না। এ ক্ষেত্রে টি-২০ ক্রিকেটে বেশি অর্থ থাকাও বড় কারণ বলে মনে করেন তিনি। জাতীয় দল ছেড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের প্রতি ঝুঁকে পড়ার আগ্রহ বাড়ছে ক্রিকেটারদের মধ্যে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশভেদে বেতন-ভাতার প্রচুর পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ গত বছর আয় করেছেন সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ লাখ ডলার। অথচ এই একই সময়ে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমারের আয় ৮৬ হাজার ডলার! সাকিব অবশ্য ক্রেমারের চেয়ে বেশি আয় করেছেন। গত বছর ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার আয় করেছেন দেশসেরা এ ক্রিকেটার। টেস্ট খেলুড়ে ১০টি দেশের মধ্যে আয়ে সাকিব কিন্তু শুধু ক্রেমারের চেয়েই এগিয়ে।

এই কমিটির সদস্য ও অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক পন্টিং সাকিবের কথা থেকে বলেন,  ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা দেশ রেখে আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে খেলে না। এর বড় একটি কারণ হচ্ছে দেশের বোর্ড তাদের যথাযথ পারিশ্রমিক দিয়ে মূল্যায়ন করে থাকে। তাই উচিৎ খেলোয়াড়দের টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি চুক্তি করা উচিত। ফলে ক্রিকেটারদের সাদা পোশাকে আগ্রহ সরবে না।

এদিকে সাকিবের সঙ্গে সুর মিলিয়ে পন্টিং আরও বলেন, ‘সাকিব বাংলাদেশ ক্রিকেটের বেশ কয়েকটি সমস্যার কথা বলেছে। তার মতে, অর্থ যা আয় হয় সেটি কিভাবে ব্যয় হয় তা আইসিসিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সে জানে বিশাল অঙ্কের এই অর্থ হয়তো সঠিক জায়গাতেই যাচ্ছে, কিন্তু খেলোয়াড়দের কাছে যেভাবে যাওয়া উচিত, সেভাবে নয়। ’

২০ ওভারের ক্রিকেট তরুণদের কাছে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলে, শুধু টেস্ট নয়; আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের গুরুত্ব অনেক দেশের খেলোয়াড়দের কাছে কমে যাবে বলে শঙ্কার সুর উঠেছে এমসিসির সভায়।

এমসিসি প্রতি বছর দুটি করে সভা করে থাকে। এসব সভাতে ক্রিকেটের আইন, নিয়ম ও এর প্রাসঙ্গিক সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। পরে তারা আইসিসিতে প্রস্তাবনা পাঠায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, ১০ জানুয়ারি, ২০১৮
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।