ঢাকা: ব্রাজিল শুধু উত্তর কোরিয়াকে জয় করেনি। অজানা রহস্য ভেদ করে দিয়েছে গ্রুপের অন্য দলগুলোর জন্য।
=গতি দিয়ে পুরো ৯০ মিনিট খেলার সামর্থ্য রাখে উত্তর কোরিয়া।
=বলের পেছনে একের পর এক বাঁধা হয়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা।
=শক্তিশালী রক্ষণভাগ।
=হার না মানার মানসিকতা।
পর্তুগিজদের ধারণা অনেকাংশেই ঠিক। বলের পেছনে ক্ষিপ্র গতিতে ছোটার ক্ষমতা আছে উত্তর কোরিয়ার খেলোয়াড়দের। গায়ে বেশ শক্তি, সহজেই কাবু করা যায় না। বিশ্বের অন্যতম সেরা দল ব্রাজিলকেও ঘামঝড়াতে হয়েছে খর্বাকায় ফুটবলারদের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিতে। একটি গোলও হজম করতে হয়েছে হুলিও সিজারকে।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরাও বুঝে গেছেন জয় পেতে হলে যে কোন মূল্যে কোরিয়ার রক্ষণদুর্গ ভেদ করতে হবে। খেলতে হবে গতিময় ফুটবল। এলোমেলো করে দিতে হবে প্রতিপক্ষের মাঝমাঠ।
মিডফিল্ডার রাউল মেইরেলসের অনুমান এমনই। বলেন,“আমার বিশ্বাস তারা ব্রাজিলের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছে আমাদের সঙ্গেও তাই করতে চাইবে। সফল হতে চাইলে কোরিয়ার রক্ষণবাঁধা অতিক্রম করতে হবে আমাদেরকে। ”
রোনালদোর ভালো খেলার ওপরই নির্ভর করে পর্তুগালের সাফল্য ব্যর্থতা। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় দুই বছর হলো আন্তর্জাতিক ম্যাচে কোন গোল পাননি। বিশ্বকাপে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে আইভরিকোস্টের সঙ্গে সামর্থ্যরে সেরাটা উজাড় করে খেলতে না পারার খেসারত দিয়েছে দল গোলশূন্য ড্র করে। উল্টো হলুদ কার্ড দেখায় ‘প্লে মেকার’ একটু অতিরিক্ত সতর্কই থাকবেন কোরিয়ার বিপক্ষে।
কোচ কার্লোস কুইরোসের বিশ্বাস লালবাহিনীকে চাপে রাখতে পারবে তার দল। বলেন,“প্রথম ম্যাচে সবসময় একটু ঝুঁকি থাকে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে নিঃসন্দেহে ভাল খেলবে ছেলেরা। ”
সিমোয়া সাবরোসাকে দলে নিয়েছেন কুইরোস। তার পরেও চোটের অভিশাপ মুক্ত হতে পারছে না পর্তুগাল। নিতম্বের পেশিতে টান না সারায় এ ম্যাচেও খেলতে পারছেন না দলের গুরুত্বপূর্ণ মিডফিল্ডার ডেকো।
তবে ১৯৬৬ সালের ম্যাচটি প্রেরণা হতে পারে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালিস্টদের জন্য। কোরিয়ার চমক থামিয়ে দিয়েছিলো এই পর্তুগালরাই। সেবার প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে পিছিয়ে থেকে ইউসেবিওর কল্যাণে ৫-৩ গোলে ম্যাচ জিতেছিলো ইউরোপের দলটি।
ব্রাজিলের কাছে ২-১ গোলে হারায় পর্তুগালের বিপক্ষে আগুনে ফর্মে ফিরতে পারে লালবাহিনী। পূর্বসূরিদের ব্যর্থতা ঢেকে দিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জনের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে পারে।
পর্তুগাল যতটা সহজে প্রতিপক্ষকে দেখছে এলিস পার্কের ম্যাচে তেমন নাও হতে পারে। নতুন ভাবে আর্বিভূত হতে পারে কোরিয়া। কমিউনিজমের চাদরে মোড়ানো নতুন কোন কৌশল দিয়ে গেম পরিকল্পনা সাজানোর কথা ভাবছেন কোচ কিম জং-হুন। বলেছেন,“আমাদেরকে নতুন করে ভাবতে হবে। হয় আক্রমণ নয় রক্ষণাত্মক পদ্ধতি বাড়িয়ে সফল হতে হবে। ”
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬৫১ ঘ. ২০ জুন, ২০১০
এসএ