ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

দুই সেকেন্ডের ব্যবধানে প্রযুক্তির অবদান

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
দুই সেকেন্ডের ব্যবধানে প্রযুক্তির অবদান ছবি: সংগৃহীত

জলদানব খ্যাত আমেরিকান সাঁতারু মাইকেল ফেলপসের গতি প্রতি ঘণ্টায় ছয় মাইল। অন্যদিকে শ্বেত হাঙরের গতি প্রতি ঘণ্টায় ২৫ মাইল। অন্যভাবে, নিজের সেরা সময়ে যেখানে ফেলপসের গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার, সেখানে হাঙর ছুটতে পারে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিতে।

২৩টি অলিম্পিক স্বর্ণ পদকজয়ী ফেলপস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘হোয়াইট শার্ক’ বা শ্বেত হাঙরের সঙ্গে লড়াইয়ের কথা আগেই জানিয়েছিলেন। জলের লড়াইয়ে সর্বকালের সফলতম অলিম্পিয়ান ফেলপস ১০০ মিটার সাঁতারে মাত্র ২ সেকেন্ডের ব্যবধানে হেরেছেন শ্বেত হাঙরকে প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছে নিয়ে।

দক্ষিণ আফ্রিকার ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঠান্ডা পানিতে উন্মুক্ত সমুদ্রে ১০০ মিটার সাঁতারে তিনি সময় নিয়েছেন ৩৮.১ সেকেন্ড। হাঙর সে জায়গা অতিক্রম করেছে ৩৬.১ সেকেন্ডে। অথচ ১০০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে ফেলপসের সেরা টাইমিং ৪৭.৫১ সেকেন্ড।

গত বছর অবসর নেওয়া মার্কিন কিংবদন্তির পাশাপাশি সত্যিকারের জলদানবের এমন প্রতিযোগিতার একটি ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ডিসকভারি চ্যানেলে প্রচারিত হয় মানুষ-হাঙরের এ দ্বৈরথ। হাঙর সপ্তাহ উদযাপনের অংশ হিসেবে এই অভিনব প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল ডিসকভারি চ্যানেল।

তবে, ভিডিওতে দেখানো শ্বেত হাঙরের পাশাপাশি সত্যি সত্যিই কি সাঁতরেছেন ফেলপস? উত্তর জানলে আশাহত হতে হবে দারুণ রোমাঞ্চ খুঁজতে যাওয়া ভিডিওর দর্শকদের। ফেলপসের নিরাপত্তার কারণে হাঙরের পাশাপাশি তাকে সাঁতরাতে দেওয়া হয়নি। প্রতিযোগিতা হয়েছে ভিন্ন দুই সময়ে। পরে সাঁতারের দুটি ভিডিও জোড়া লাগানো হয়েছে। কম্পিউটার সিম্যুলেশনে ব্যবহার করে সেটা করা হয়। আটলান্টিক মহাসাগরে ১০০ মিটার জায়গা বেছে নিয়ে খাবারের লোভ দেখিয়ে নিয়ে আসা হয় শ্বেত হাঙরকে। খাবারের পিছু ধাওয়া করে ১০০ মিটার পার হতে হাঙরটির সময় যে সময় লাগে, তার থেকে দুই সেকেন্ড বেশি সময় লাগে ফেলপসের। তবে আলাদাভাবে সাঁতরালেও দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূলবর্তী সমুদ্রের হাঙরপ্রবণ এই এলাকায় ফেলপসের নিরাপত্তায় অংশ নিয়েছিলেন পেশাদার ডাইভারদের একটি দল।

প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েই ফেলপস তার ক্যারিয়ার সেরা টাইমিংয়ের থেকেও কম সময় নিয়েছেন। এক মিলিমিটার পুরু বিশেষ পোশাক গায়ে চাপানো ফেলপস হাঙরের মতো বিশেষ লেজ লাগিয়ে নেন। তাতেই গতিটা বেড়েছিল পুলের রাজা এই মার্কিন কিংবদন্তির।

হারটা কিন্তু মানতে পারছেন না ৩২ বছর বয়সী ফেলপস। সাঁতারের পর টুইট করে জানিয়েছেন, ‘আরেকটা ম্যাচ...পরেরবার আরেকটু উষ্ণ পানিতে হবে দ্বৈরথটা, তখন দেখা যাবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, ২৫ জুলাই ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।