ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ফুটবল

ফেডারেশন কাপে ভারতীয় কোচদের তিক্ত অভিজ্ঞতা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
ফেডারেশন কাপে ভারতীয় কোচদের তিক্ত অভিজ্ঞতা সৈয়দ নইমুদ্দিন ও সুব্রত ভট্টাচায্য

দু’জনই গুরু-শিষ্য। একজন সৈয়দ নইমুদ্দিন। ঢাকার ফুটবলে যিনি অতি পরিচিত মুখ। আরেকজন সুব্রত ভট্টাচায্য। সৈয়দ নইমুদ্দিনেরই শিষ্য। দু’জনই প্রতিবেশী দেশ ভারতের। চলতি বছর বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের শীর্ষ দুই ক্লাবের কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন। তবে, এ বছরে ঘরোয়া ফুটবলে গুরু-শিষ্যের প্রথম অভিজ্ঞতাটা তিক্তই হয়েছে বলতে হবে।

এ বছর দু’জনই দুই শীর্ষ ক্লাবের হয়ে ফেডারেশন কাপের মিশন শুরু করেছে। সৈয়দ নইমুদ্দিন দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন।

সাদা-কালো শিবিরের সোনালী ঐতিহ্য ফিরে পেতে এবং ‘শিরোপা খরা’ ঘোচাতে নইমুদ্দিনকে এক প্রকার ‘আচমকা’ই ভারত থেকে উড়িয়ে এনেছে মতিঝিলের ক্লাবটি।

ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এই কোচ নইমুদ্দিনের এবারের শুরুটা অবশ্য সুখকর হয়নি। ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম বড় আসর ফেডারেশন কাপ টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে সাদা-কালো শিবিরদের।

তিন ম্যাচে মাত্র একটি জয়! তাও গ্রুপ পর্বে তুলনামূলক দুর্বল দল আরামবাগের বিপক্ষে। বাকী দুটিতে রয়েছে হারের বিস্বাদ ছোঁয়া। চট্টগ্রাম আবাহনী ও শেখ জামালের মতো বড় দলের বিপক্ষে ‘বিগ বাজেটে’র দল গড়েও হারের স্বাদ পেতে হয়েছে এই লিজেন্ড কোচের শিষ্যদের।

অন্যদিকে, কোচ সৈয়দ নইমুদ্দিনের এক সময়ের শিষ্য সুব্রত ভট্টাচায্যের ভাগ্যেও একই লিখন। ভারতের জাতীয় যুব দলে কোচ থাকাকালীন সময়ে তার অধীনেই খেলেছিলেন সুব্রত। ৬ মৌসুম ধরে ব্রাদার্স ইউনিয়নের ডাগআউটে সময় পার করা গুরুর এই ক্লাবে এবার ভার পড়েছে কলকাতার মোহামেডানের সাবেক কোচ সুব্রতর। দেশের বাইরে প্রথম কোচিং অভিজ্ঞতাটাও তাই যেমনটা চমকের তেমনি তিক্ততার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে তার।

তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া ব্রাদার্স ইউনিয়ন শেষ আট থেকে ছিটকে গিয়েছে ফেডারশন কাপ থেকে। গ্রুপ পর্যায়ে একটি মাত্র জয়-টিম বিজেএমসির বিপক্ষে। সঙ্গে সুব্রতর ঝুলিতে জমা হয়েছে রহমতগঞ্জ ও আবাহনীর বিপক্ষে দগদগে হার।

তবে এই তিক্ততাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন না সুব্রত ভট্টাচায্য। তিনি বলেন, ‘ফুটবলে হার-জিত থাকবে। সামনে বিপিএল আর স্বাধীনতা কাপ আছে। মাঠেই তার প্রমাণ মিলবে। ’

চলতি বছরের জুলাইয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। তার মধ্যেই স্বাধীনতা কাপতো আছেই। যেহেতু খেলাটা ফুটবল তাই অসম্ভব বলে কিছুই নেই।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, ২৭ মে, ২০১৭
জেএইচ/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।