ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

১৭ কোটি মানুষের কোচ মাত্র ১৮০ জন!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৭
১৭ কোটি মানুষের কোচ মাত্র ১৮০ জন! ১৭ কোটি মানুষের কোচ মাত্র ১৮০ জন!

দেশের ফুটবলের ধারাবাহিক অবনমনে শঙ্কিত পুরো জাতি। ফিফার সদস্যপদ পাওয়ার পর এই প্রথমবার র‌্যাংকিংয়ের সবচেয়ে তলানিতে (১৯৩) পৌঁছেছে বাংলাদেশ। ফুটবলে লাল-সবুজদের এমন ভরাডুবিতে বাফুফেও নড়েচড়ে বসেছে। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে। তারই অংশ বিশেষ দেশের কোচের সংখ্যা বাড়ানোয় মনোযোগী হচ্ছে দেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় অভিভাবক।

বিভিন্ন ক্যাটাগরির লাইসেন্সধারী কোচের সংখ্যা একটু বাড়লেও জনসংখ্যার পরিসংখ্যানে যা অপ্রতুল। কোচের সংখ্যাটা সবমিলে মাত্র ১৮০ জন! অথচ এই সংখ্যা হওয়া উচিত ছিল ২ হাজারের মতো।

ফুটবল প্রেমী ১৭ কোটি মানুষের কোচ মাত্র ১৮০ জন!

অথচ ২০০৩ এর সাফ এবং ১৯৯৯ ও ২০১০ সালের সাফ গেমস ও এসএ গেমসে ফুটবলে স্বর্ণজয়ী দেশটিতে ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ মাত্র ১৮ জন। ‘বি’ লাইসেন্সধারী কোচের সংখ্যা ৫৩। ‘সি’ লাইসেন্স আছে ১০৯ জনের। সর্বশেষ এফসির অধীনে ও বাফুফের তত্ত্বাবধানে ২৪ জনকে ‘সি’ লাইসেন্সের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। উয়েফার ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ আছেন মাত্র একজন। তিনি মারুফুল হক।

যে ভুটানের কেছে হেরে বাংলাদেশের ফুটবল গর্তে ঢুকেছে সেই ভুটানে কোচের সংখ্যা বাংলাদেশের চেয়েও বেশি। ৭ লাখ মানুষের এই ছোট্ট দেশটিতে ‘সি’ লাইসেন্সধারী কোচের সংখ্যা ২০০ জনেরও বেশি। সেই তুলনায় বাংলাদেশ প্রায় শ’খানেক কম।

ভুটানের ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ অবশ্য একজন। ‘বি’ আছে ১০ জনের। বাফুফে সর্বশেষ ২০১৭ সালে ‘সি’ লাইসেন্স কোর্স করে এই কোচের সংখ্যা সব মিলিয়ে ১০৯তে উন্নীত করেছে।

ফুটবলের উন্নতি করতে গেলে কোচের সংখ্যা বাড়াতে হবে বলে মনে করেন বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর বি এ যোবায়ের নিপু। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশে কমপক্ষে ১ হাজার ‘সি’ লাইসেন্সধারী কোচ থাকা উচিত। ‘বি’ লাইসেন্সধারী কোচ হতে হবে অন্তত ৫০০ জন। ‘এ’ লাইসেন্স থাকতে হবে নূন্যতম ১০০।

তার মতে, প্রত্যেক জেলা ও বিভাগে প্রচুর কোচের প্রয়োজন আছে। সেই তুলনায় আমাদের কোচের সংখ্যা খুবই কম। একজন শিক্ষিত কোচই মানসম্পন্ন ফুটবলার তৈরি করতে পারেন। কোচ যদি নিজেই আধুনিক স্টাইল না জানেন তাহলে তার কাছ থেকে কী শিখবেন ফুটবলাররা?
একজন সাবেক ফুটবলারই ভালো কোচ হয়ে ভালো খেলোয়াড় তৈরিতে এগিয়ে আসতে পারবেন বলে মনে করেন বাফুফের বেতনভুক্ত ‘বি’ লাইসেন্সধারী কোচ কে এম জাবিদ হোসেন অপু। তিনি বাংলানিউজকে জানান, একজন ভালো ফুটবল খেলোয়াড়ই বুঝতে পারবেন কিভাবে কোচিং করানো যায়। তারা ফুটবলটাকে ভালোভাবে বোঝাবেন।

সেই সঙ্গে গ্রামেগঞ্জে প্রচুর লিগ ও খেলার আয়োজন করতে বাফুফে ও হর্তাকর্তাদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রচুর টুর্নামেন্ট হলে কোচরা সুযোগ পাবেন এবং সম্মানিও পাবেন। তাদের সংসার চালানোর একমাত্র পেশা কোচিং। সেই বিষয়টাও নিশ্চিত করতে হবে।
 
বাফুফের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে কোচ হওয়ার আগ্রহ বাড়ছে বলে মনে করছেন তিনি। সম্মানি বাড়ছে। ইতোমধ্যে ১০০ সিভি জমা পড়েছে। এগুলো পর্যবেক্ষণ করে আবার ডাকা হবে। তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ করানো হবে বলে জানান তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, ১৮ এপ্রিল ২০১৭
জেএইচ/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।