ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

গ্রুপপর্বে অপরাজেয় বাংলাদেশ

তাসনীম হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
গ্রুপপর্বে অপরাজেয় বাংলাদেশ গ্রুপপর্বে অপরাজেয় বাংলাদেশ। ছবি: উজ্জ্বল ধর-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম থেকে: শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ৭ রান। হাতে তখনও দুই উইকেট। উইকেটে সাইফ উদ্দিন ও নাইম হাসান। প্রথম পাঁচ বলে পাঁচ রান নেওয়ায় শেষ বলে নিতে হতো দুই রান। কিন্তু শেষ বলে সাইফ উদ্দিন এক রানের বেশি নিতে না পারায় খেলা শেষ হয় ‘টাই’ এর মধ্যদিয়ে।

ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচ টাই হওয়ায় নেট রানে এগিয়ে থাকে পাকিস্তান। তবে, গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকেই শেষ করেছে জুনিয়র টাইগাররা।

শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এদিন পাকিস্তানের দেওয়া ২৩৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে যথারীতি আজও দ্রুত টপঅর্ডার হারায় বাংলাদেশ। সেই বিপর্যয়ে দলের ত্রাতার ভূমিকা নেন ঘরের ছেলে মুমিনুল হক। ৯১ বলে ৭৫ রান করে মুমিনুল হক আউট হন। অন্যদিকে ৫৩ রান করে ফেরেন মোহাম্মদ মিথুন।  

এর আগে ২৪ রানে দুই ওপেনার সাইফ ও আজমিরকে হারায় বাংলাদেশ। পরে ৮৭ রানে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দলের রান যখন ১১০ তখন সাজঘরে ফেরেন গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাসির হোসেন। সেখান থেকে বাংলাদেশকে পথ দেখায় মুমিনুল হকের ব্যাট। ৭৫ রানের ইনিংস খেলার পথে মুমিনুল প্রথমে শান্তর সঙ্গে ৬৩ ও মিথুনের সঙ্গে ৭৩ রানের আরও একটি জুটি গড়েন।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশের বোলারদের সামনে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। ৩৫ রানেই তারা হারিয়ে ফেলে চার উইকেট। তখন মাত্র ১১ ওভার তিন বল। এদিন টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে বোলিং করা সাইফ উদ্দিন জোড়া আঘাত হানেন প্রতিপক্ষের শিবিরে। নিজের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে এলবির ফাঁদে ফেলেন ইমরান বাটকে। এক ওভার বাদে আবারও সাইফ উদ্দিনের আঘাত। এবার তার শিকার ইনফর্ম ইমাম উল হক। সেটাও যথারীতি এলবি। স্লিপে শান্তর হাতে ক্যাচ বানিয়ে অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ফেরান এই ম্যাচে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া নাইম হাসান। পরের ওভারে জাহিদ আলীকে মাসুম হাসান বোল্ড করে দিলে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩৫।

দলের এমন বিপর্যয়ে হাল ধরেন হারিস সোহেল ও হাম্মাদ আজম। পঞ্চম উইকেটে তারা দুজন যোগ করেন ৮৬ রান। মূলত এই জুটিতেই ২০০ পেরুনো স্কোর পায় পাকিস্তান। তবে ব্যক্তিগত ৪ রানে আবুল হাসান রাজু নিজের বোলিংয়ে হারিস সোহেলকে এবং ব্যক্তিগত ২ রানে সাইফ উদ্দিনের বলে মোহাম্মদ মিথুন হাম্মাদ আজমের ক্যাচ না ছাড়লে হয়তো ২০০ রানের অনেক আগেই বুকড করা যেত পাকিস্তানকে। উল্টো দিকে শেষের দিকে হোসাইন তালাতের অপরাজিত ৫৭ রানের উপর ভর করে ২৩৩ রান করে পাকিস্তান।

বাংলাদেশের পক্ষে সাইফ উদ্দিন সর্বোচ্চ তিন উইকেট, আবুল হোসেন রাজু ও মাসুম আহমেদ দুটি করে এবং নাইম হাসান একটি উইকেট পান।

এদিকে ইতিমধ্যে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। তাই দুই দলের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটা হতে পারতো ‘গুরুত্বহীন’। কিন্তু এই ম্যাচের উপর যে নির্ভর করে সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ। এই ম্যাচেও যথারীতি টসে হারেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক।

ফিল্ডিংয়ে নামা বাংলাদেশ দল একটি পরিবর্তন আনে একাদশে। প্রথম দুই ম্যাচের একাদশে থাকা রাহাতুল ফেরদৌস জাভেদের পরিবর্তে দলে সুযোগ পান নাইম হাসান।

কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম-২ তে দিনের অপর ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হয় হংকং। ইতিমধ্যে দুই দলই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ায় ম্যাচটা হয় নিয়ম রক্ষার ম্যাচ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭

টিএইচ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।