ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

স্বপ্ন বাঁচাতে ঝুঁকি নিয়েছিলেন এনরিক

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৭
স্বপ্ন বাঁচাতে ঝুঁকি নিয়েছিলেন এনরিক ছবি: সংগৃহীত

চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে ঘরের মাঠে অলৌকিক কিছু দেখানোর প্রয়োজন ছিল স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার। অলৌকিক কিছুর অপেক্ষায় ছিল সমর্থকেরা। নিরাশ করেননি লুইস এনরিকের ছাত্র মেসি-নেইমার-সুয়ারেজরা।

পিএসজির বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচে ৪-০ গোলে হারার পর চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নেওয়ার যে প্রস্তুতি ছিল, সেটি এখন ইউরোপ-সেরা শিরোপা জেতার প্রস্তুতিতে রূপ নিয়েছে। আর এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটাতে বার্সা খেলোয়াড়দের সঙ্গে ঝুঁকি নিয়েছিলেন কোচ এনরিক।

পিএসজিকে নিজেদের মাঠ ক্যাম্প ন্যু’তে ৬-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে পৌঁছে গেছে এনরিকের শিষ্যরা। পিএসজির মাঠে বড় ব্যবধানে হারের পর সমালোচকদের তোপের মুখে পড়ে চলতি মৌসুমের পর বার্সার দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন এনরিক।

এমন রূপকথা তৈরি করা এনরিক এবার নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন, ‘আমরা সবকিছু দিয়ে ঝুঁকি নিয়েছিলাম এবং তার প্রতিদানও পেয়েছি। ফুটবলে এমন ম্যাচ খুব কমই দেখা যায়। আমি ছাত্রদের এমন দুর্দান্ত পারফর্মে সন্তুষ্ট। এটা আমাদের দিন, আমাদের ম্যাচ। ’

শিষ্যদের প্রশংসায়ও পঞ্চমুখ এনরিক জানান, ‘৪-০ গোলে হারের পর যারা আমাদের ওপর বিশ্বাস রেখেছিল, তাদেরকে ধন্যবাদ। আমার শিষ্যরা দারুণ একটি ম্যাচ উপহার দিতে পেরেছে। তবে, আমি মনে করি না কেউ বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিল। গোল হজমের পরও ছেলেরা ম্যাচের পেছনে লেগে ছিল। এই জয় তাদের জন্য উৎসর্গ করছি যারা আমাদের ওপর থেকে কখনোই বিশ্বাস হারায়নি। আমাদের দলটি সত্যিই অবিশ্বাস্য। ’

চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বের ইতিহাসে এর আগে কোনো দলই ৪-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ফিরে আসতে পারেনি। তবে এবার তাই করে দেখালো কাতালান শিবির। ঘরের মাঠে পিএসজিকে ৬-১ ব্যবধানে ফিরতি লেগে হারায় এনরিক শিষ্যরা। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে অ্যাগ্রিগেটে ৬-৫ ব্যবধানে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে বার্সা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, ০৯ মার্চ ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।