ঢাকা: বিশ্বকাপের অংশ হিসেবেই ২১ জন ক্রিকেটরকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন খালেদ মাহমুদ। এরপরেও বোঝার বাকি থাকে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্মকর্তাদের সুনজর তার ওপর বিদ্যমান।
খালেদ মাহমুদ বিসিবির স্থায়ী কোচ। দেশি কোচদের মধ্যে শীর্ষ স্থানেই আছেন। বোর্ড কর্মকর্তাদেরও দারুণ পছন্দ তাকে। তবে জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি সিডন্সের একটু আপত্তি আছে তাকে নিয়ে। আপত্তিটা সহকারী কোচ হিসেবে। তবে ম্যানেজার হলে জেমির কোন প্রশ্ন নেই। অবশ্য জেমির পছন্দ অপছন্দে কিছু যায় আসে না। বোর্ড কর্মকর্তারা এনিয়ে ভাবেন না। কোচিং সহকারী নিয়োগ দিতে বিসিবি কখনোই প্রধান কোচের ধারধারে না। বরং জেমির সাহায্যকারী নিয়োগ বা বিয়োগে পুরো কর্তৃত্বই বোর্ডের।
অতএব জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে খালেদ মাসুদই থাকছেন এমন সিদ্ধান্ত বিসিবির প্রভাবশালী পরিচালক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুলের। বুধবার বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে তিনি বলেন,“সুজন বিসিবির কোচ। তাকে জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে দলের প্রয়োজনে। সে কাজ করছে এবং কাজ করবে। এতে কারো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ”
এবিষয়ে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেন সিরাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি কূটনৈতিক আশ্রায় নেন। বলেন,“আমরা সবাই আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব। তবে জাতীয় দলের সহকারী কোচ থাকলে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ”
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ৩০ জন ক্রিকেটার নিয়ে শিগগিরই আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করতে যাচ্ছে বিসিবি। ক্রিকেটার বেশি হওয়ায় সিডন্স একা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন না বলেও মনে করেন বোর্ড পরিচালকরা। সেকারণেই সুজনকে সহকারী কোচের দায়িত্বে রাখার পক্ষে অনেকে।
তবে ‘এ’ দলের জন্যও বিবেচনা করা হচ্ছে জাতীয় দলের সহকারী কোচকে। এবছরই বাংলাদেশ ‘এ’ দল দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে। সেখানে কোন বিদেশি কোচ না থাকায় ডাক পড়তে পারে খালেদ মাহমুদের। অবশ্য কোচ সারোয়ার ইমরানকেও ‘এ’ দলের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘন্টা, আগস্ট ১১, ২০১০