ঢাকা: আফ্রিদির সেঞ্চুরিতেও পরাজয় এড়াতে পারেনি পাকিস্তান। মঙ্গলবার এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে ১৬ রানে হেরেছে তারা।
শোয়েব আখতারের রাজসিক প্রত্যাবর্তন কাঁপন ধরিয়ে দেয় লঙ্কান শিবিরে। এই বুঝি ধ্বস নামে ইনিংসে। ১১ রানেই উপুল থারাঙ্গার উইকেটটি তুলে নেন পাকিস্তান স্পীড স্টার। আরো ২৫ রান যোগ হতেই দিলশানের উইকেটে আঘাত হানেন মোহাম্মদ আসিফ।
ভয়ে তটস্থ হওয়ার যোগার। কিন্তু সিংহ পুরুষরা ঘাবরায়নি। উল্টো তৃতীয় উইকেট জুটিতে কুমার সাঙ্গাকারা এবং মাহেলা জয়াবর্ধনে যোগ করেন ৮৩ রান। শ্রীলঙ্কা পৌঁছে যায় ১১৯ রানে। আফ্রিদির শিকার হওয়ার আগে ৪২ রান করেন সাঙ্গাকারা। ৫৪ রানে জয়াবর্ধনেকে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলেন শোয়েব মালিক।
এরপর শোয়েব আখতার এবং মোহাম্মদ আমের দুটি করে উইকেট তুলে নিয়ে চাপে রাখে লঙ্কানদের। কেবল অ্যাঞ্জেল ম্যাথিউস ইনিংসের শেষপর্যন্ত হাল ধরে রাখায় ৯ উইকেট ২৪২ রানের সংগ্রহ পায় চারবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। ৫৫ রান করনে ম্যাথিউস।
জবাব দিতে নেমেই লঙ্কান বোলারদের তোপের মুখে পড়ে পাকিস্তান। লাসিথ মালিঙ্গা এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস জোড় বেধে টপাটপ উইকেট তুলে নেন। ৩২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আফ্রিদি বাহিনী।
মান রক্ষার দায়িত্ব পড়ে নেতার কাঁধে। ধুমধারাক্কা ব্যাটিং দিয়ে আফ্রিদি খেলেন ১০৯ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। ৭৬ বলে ৮টি চার এবং ৭টি ছয়ের মার দিয়ে সাজান নিজের ইনিংসটি। মুরালিধরনের বলে ক্যাচ তোলার আগে দলকে রেখে যান ২০৫ রানে। বুমবুম আফ্রিদির বিদায়ের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় পাকিস্তানের। মালিঙ্গা শেষ তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরে দিলে, ৩ ওভার আগেই অল-আউট হয় পাকিস্তান। উমর আকমল ৩০ এবং আব্দুল রাজ্জাক ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
মালিঙ্গার ভান্ডারে জমা হয় ৫ উইকেট এবং ম্যাথিউস পান ২টি উইকেট। দল হারলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন শহীদ আফ্রিদি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২৪২ ঘ. ১৬ জুন, ২০১৬
এসএ