ঢাকা: বিদেশের মাটিতে জয়ের রেকর্ড খুব ভালো নয় এশিয়ার দেশ জাপানের। তবে বিশ্বকাপে তাদের গ্রুপ (ই) সঙ্গী ক্যামেরুন এদিক দিয়ে এগিয়ে।
আফ্রিকান সিংহ নামে খ্যাত ক্যামেরুনের আশা-ভরসা যাকে ঘিরে ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার স্যামুয়েল ইতোও আছেন দারুণ ফর্মে। সিরি ‘আ”তে চ্যাম্পিয়ন তার কাব। ইতোর ওপর আস্থা রাখেছেন কোচ পল লে গুয়েন।
বলেন, “এই হচ্ছে অধিনায়ক, একজন ভালো খেলোয়াড়। না ও হচ্ছে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। ইতো ভাল করুক এটাই প্রত্যাশা করি। ”
র্যাঙ্কিংয়ের ১৯তম দলটি ২০ বছর আগে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে চমকে দিয়েছিলো সারা দুনিয়াকে। কিন্তু পরের তিন আসরেই বিদায় প্রথম রাউন্ডে। ২০০৬ সালে তো বাছাইপর্বেই অংশ নেয় নি দেশটি।
২০০২ সালে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক জাপান তাদের মিশন শেষ করেছিল নকআউট পর্ব খেলে। সেবার র্যাঙ্কিংয়ের ৪৫তম দলটি বিদায় নেয় তুরস্কের কাছে হেরে।
আক্রমণভাগে বেশ সমস্যা রয়েছে দলটির। তাই দলের মাঝ-মাঠের দুই তারকা খেলোয়াড় শুনসুকে নাকামুরা ও কেইসুকে হোন্ডারই হবে ক্যামেরুন বধে সামুরাই ব্লুদের প্রধান হাতিয়ার।
কোচ তাকেশি ওকাদা সিএসকে মস্কোর হয়ে খেলা হোন্ডা সম্পর্কে বলেন,“মস্কোয় যাওয়ার পর হোন্ডার খেলায় পরিবর্তন এসেছে। কারণ জালে বল জড়াতে হোন্ডা আগের চেয়ে বেশি আত্ম-বিশ্বাসী। তাই তার নিকট প্রত্যাশা অনেক। ”
বিশ্বকাপে কখনো দেখা হয়নি। তবে তারা মুখোমুখি হয়েছে তিন বার। খেলাগুলো হয়েছে জাপানের মাটিতে। ফলে নিজের দেশে জাপান দুইটি খেলাতেই হারায় ক্যামেরুনকে একই ব্যবধানে (২-০ গোলে)। এছাড়া গোলশূন্য ড্র হয়েছে একটিতে।
এছাড়া ২০০২ সালের বিশ্বকাপের যে দুই ম্যাচে তারা জয় পেয়েছিল। সেটাই হয় জাপানে।
তবে আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন কখনো হারেনি তাদের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে। ১৯৯০ সালে তারা প্রথম খেলায় হারিয়ে দেয় আর্জেন্টিনাকে।
জাপান সম্ভাব্য একাদশ: সেইগো নারাজাকি (গোলরক্ষক), আটসুতো উচিদা, ইউজি নাকাজাউয়া, টুলিও, ইউতো নাগাটোমো, শুনসুকে নাকামুরা, ইয়াসুহিটো এনদো, মাকোটো হাসেবে, ডাইসুকে মাটসুই, কেইসুকে হোন্ডা ও শিনজি ওকাজাকি।
ক্যামেরুন সম্ভাব্য একাদশ: কালোর্স কামেনি (গোলরক্ষক), স্টেফেন এমবিয়া, সেবাস্টিয়ান বাস্সনি, নিকোলাস এনকুলু, বেনোইট আসু ইকোত্তু, জেয়ান মাকু, এনোহ ইয়ং, আলেক্সান্ড্রে সনি, জর্জেস মান্ডজেক, স্যামুয়েল ইতো ও ইরিক চোপো মোটিং।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪২৭ ঘ. জুন ১৩, ২০১০
সিজি/