ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

ওচোয়া-বিদ্ধ ব্রাজিল ! ।।ফরহাদ টিটো।।

. | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৪
ওচোয়া-বিদ্ধ ব্রাজিল ! ।।ফরহাদ টিটো।।

মেক্সিকানরা ওদের ভাষায় ৮ কে বলে ওচো। তবে 'ওচোয়া ' শব্দের উৎপত্তি ওচো থেকে কি না তা গুগল জানেনা।

বলতে পারেনি কানাডায় জন্ম, আমার এক স্প্যানিশ বন্ধুও। আমরা যেমন বাংলায় অষ্টম থেকে অষ্টমী বলি, প্রথম থেকে প্রথমা কিংবা দশ থেকে দশমী... ওচোয়াও হতে পারে অষ্টমী টাইপের একটা কিছু। তেমন কিছু ধরে নিলে ‘ওচোয়া’ নামের মেক্সিকান গোলকিপার যা দেখালেন গতরাতে ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলায়, তার প্রশংসা করতে  গিয়ে তাকে তো 'অষ্টমআশ্চর্য''বলে দেয়া যায়!

ম্যাচের ২৬, ৪৩, ৬৮ আর ৮৫ মিনিটে ওর করা সেইভগুলো চলতি বিশ্বকাপে এ যাবত হওয়া সব খেলার মধ্যে কোনও গোলরক্ষকের সেরা পারফরম্যান্স- তা বললে কেউ নিশ্চয়ই প্রশ্ন তুলবেন না। বিশেষ করে ২৬ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের ভেতর  ভিড় থেকে লাফিয়ে উঠে নেইমারের নেয়া আচমকা হেডটা ডানে ডাইভ দিয়ে এক হাতে যেভাবে ক্লিয়ার করলেন ওচোয়া-গোলকিপিং শিক্ষা ম্যানুয়েলে তা অন্তর্ভুক্ত করে ফেলা যায় সহজেই! বিশ্বময় টিভি রিপ্লে আর স্লো-মো'তে বারবার দেখানো এই সেইভটা নব্য গোললাইন টেকনোলোজির চোখেও ছিলো ক্লিন।

ব্রাজিল-মেক্সিকো পুরো ম্যাচেই গোছানো আর আক্রমনাত্নক ফুটবল খেলেছে মেক্সিকো। যা ততোটা পারেনি ব্রাজিল। দোস সান্তোসের নেতৃত্বে মেক্সিকান ফরোয়ার্ডরা গুলীর মতো শট নিচ্ছিলেন ব্রাজিলের পোস্টে। যদিও বেশির ভাগ শটই উড়ে যাচ্ছিলো বারের উপর দিয়ে। ' শট অন টার্গেট ' অর্থাৎ গোলপোস্টের ভিতর এলাকায় নেয়া শট ছিলো ব্রাজিলেরই বেশি। যার সংখ্যা ব্রাজিল ৮, মেক্সিকো ৩। অন্যভাবে বললে 'নিশ্চিত' গোলের সুযোগ ব্রাজিলই পেয়েছিলো বেশি। এক্ষেত্রে ব্রাজিলের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন গত দুই বিশ্বকাপে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হয়ে রিজার্ভ বেঞ্চে বসা মেক্সিকান গোলকিপার ওচোয়া।
      
আমরা যারা ফুটবল দেখি, খেলা নিয়ে লেখি... ভুলেই যাই ফুটবল গোল বাঁচানোরও খেলা, শুধু দেওয়ার না। বিশ্বের সব বড় তারকা ফুটবলারই তো স্ট্রাইকার। এই তালিকায় সহসা গোলকিপারের নাম আসেনা।
     
কিন্তু দুঃখিত, ব্রাজিল-মেক্সিকো খেলায় নেইমার-সান্তোস-ওসকার-পেরালটা'র কাউকে এক নাম্বারে রাখা গেল না!
  
এই খেলার প্রশ্নাতীত হিরো ফ্রান্সিসকো গুইলারমো ওচোয়া। মেক্সিকোর ৬ ফুট ১ গোলকিপার।



বাংলাদেশের ‍আধুনিক স্পোর্টস সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মনে করা হয় তাকে। বর্তমানে কানাডার মন্ট্রিয়লে থাকেন। তবে এখনও স্পোর্টস এবং লেখালেখি তার হ্রদস্পন্দনের ‍সাথেই যেনো মিশে আছে। বিশ্বকাপ ফুটবলের এবারের আয়োজনে ফরহাদ টিটো লিখছেন বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য।



বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৪ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।