চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বাসীর বিশ্বকাপ প্রস্ততি চলছে জোরেশোরেই। শহরের ওভারব্রিজগুলোতে ঝুলছে বিশ্বকাপ ব্যানার।
বিশ্বকাপে চট্টগ্রাম যেভাবে সাজার কথা সেটা এখনো হয়নি। কাজ চলছে পুরোদমে। শহরের অবস্থা যাই হোক না কেন ভেন্যু এখনই খেলার উপযোগী বলে জানালেন বিসিবি কর্মকর্তারা। ভেন্যু চেয়ারম্যান সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর বললেন,“স্টেডিয়ামে চেয়ার বসানোর কাজটি যথাসময়ে শেষ হওয়া নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। সম্পূর্ণ চেয়ার বসে গেছে। স্টেডিয়ামের আর্কিটেকচারাল (স্থাপত্য বিষয়ক) কিছু কাজ চলছে। সেগুলোও ম্যাচের আগেই শেষ করা সম্ভব হবে। ভেন্যু মোটামুটি প্রস্তত। মাঠ এখনই খেলার উপযোগী। ”
ভেন্যু জহুর চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রায় ১৮৫০০ নতুন চেয়ার বসানোর কাজ শেষ। এছাড়া ২৩টি হসপিটালিটি বক্স তৈরী করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২০টি বক্সে ২০টি করে চেয়ার রাখা হয়েছে। দুটিতে রয়েছে ৩৬টি এবং প্রেসিডেন্ট বক্সে ৮০টি চেয়ার রয়েছে বলে জানালেন ভেন্যু চেয়ারম্যান।
আউটফিল্ডের ঘাস নিয়ে সমস্যা ছিলো। কিন্তু চট্টগ্রামের স্থানীয় গলফ কোর্সের সহায়তা নিয়ে সবুজ ঘাস বসানো হয়েছে। সেগুলোর পরিচর্যায় স্থানীয় ফায়ার ব্রিগেডেরও সাহায্য নেওযা হয়েছে জানালেন কর্মকর্তারা। তবে স্টেডিয়ামের বাইরে এখনও ঘাস ও গাছ লাগানোর কাজ এখনো শুরু হয়নি।
১২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্টেডিয়ামে ঘাষ ও বাগান তৈরীর কাজ শুরু হবে এবং সেটা এ মাসের মধ্যেই শেষ করার ব্যাপারে আশাবাদী সিরাজুদ্দিন আলমগীর। ভেন্যুর বাইরেও কর্মযজ্ঞ চলছে। সাগরিকা থেকে স্টেডিয়ামে যেতে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার, বাতি লাগানো, ডিভাইডার ও ড্রেনের কাজ চলছে। শহরের ২৫টি পয়েন্টে ফোয়ারা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনটি স্থানে বসানে হবে বাঘের ভাস্কর্য। এছাড়া স্থানীয় পরিচিতি তুলে ধরতে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এয়ারপোর্ট রোডে আস্ত পাল তোলা সাম্পান নৌকা বসানো হবে বলে জানালেন উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১১