ঢাকা: ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বছরের প্রায় অর্ধেকটা সময় বরফে আবৃত থাকে উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডা। শীতের তীব্রতা বেশি হওয়ায় অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে চায়না কেউ।
খেলা সম্ভবও হয় না। আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্রিকেট পঞ্জিকা সাজায় দেশটি। বছরের পাঁচ মাস খেলা হয় ঘরোয়া ক্রিকেট। বরফ পড়তে শুরু করলে চলে যায় বিদেশ সফরে। বরফের দেশে মাটির উইকেটও খুব বেশি নেই। তবে ইনডোরে অনুশীলন সুবিধা আছে।
আর্থিক অনিশ্চয়তা, প্রকৃতির বৈরিতা সত্বেও খানিকটা এগিয়েছে কানাডার ক্রিকেট। সহযোগী দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলও তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। কানাডায় পেশাদার ক্রিকেটার বলতে একজনই অধিনায়ক আশিস বাগাই।
দেশের গন্ডি পেরিয়ে ভিন দেশের লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে আশিসের। জন ডেভিসন তো কোচ হয়ে গেছেন। অস্ট্রেলিয়ায় বয়সভিত্তিক দলে কোচিং করান। ফাঁকে ফাঁকে খেলেন। দলের বর্ষিয়ান ক্রিকেটারদের একজন তিনি। তরুণদের মধ্যে ক্রিকেট খুব বেশি আকর্ষণ ছড়াতে না পারায় একজন কোচকেও সুযোগ দিতে হয় বিশ্বকাপ দলে।
কানাডায় কোন ক্রিকেট স্কুল বা একাডেমি থাকলে ডেভিসন হয়তো অস্ট্রেলিয়ায় কোচিং করাতেন না। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও ক্রিকেট নিয়ে স্বপ্ন দেখেন বালাজি রয়, জুবিন সারকারিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১১