ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন দেখে কানাডা

সেকান্দার আলী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১১
কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন দেখে কানাডা

ঢাকা: শঙ্করায়ন ছাড়া কানাডায় ক্রিকেটের বিকাশ সম্ভব ছিলো না। হওয়ার কথাও নয়।

সাতজাতির মিলনে তৈরি উত্তর আমেরিকার এই দলটিকে ইউএন একাদশও বলা যেতে পারে। খেলোয়াড়দের গায়ের রং দেখে; অনেকে ভুল করে কানাডাকে উপমহাদেশের আরেকটি দল ভেবে নিতে পারেন।

আসলে ভারত, পকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কান বংশো™ভূত খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়ে উঠেছে কানাডার ক্রিকেট বলয়। সেখান থেকে বেছে বেছে সেরা ১৫ জনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে বিশ্বকাপ দল। ভারত এবং পাকিস্তানের ‘এ’ দলে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ক্রিকেটারও আছে কানাডার। অভিবাসন নিয়ে বালাজি রয় এবং খুররম চোহান বিশ্বকাপ মাতাতে এসেছেন।

অথচ কানাডিয়ান সরকার দেশের ক্রিকেটে কোন অনুদান দেয় না। অলিম্পিকের খেলা না হওয়ায় ক্রিকেটের গুরুত্ব সরকারের কাছে নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)’র অনুদানে এপর্যন্ত এসেছে। খানিকটা পেশাদারিত্বের ছোঁয়াও লেগেছে। ধনী দেশের অবহেলিত ক্রিকেট ডানা মেলেছে বিশ্বকাপে, এনিয়ে চতুর্থবার।

সাতজন ক্রিকেটার বেতন ভুক্ত, বিশ্বকাপের জন্য বাকিদেরকেও দেওয়া হবে আর্থিক সুবিধা। ভালো খেললে তো কথাই নেই। ভালো খেলার জন্যই তো আশিস বাগাইরা বিশ্বকাপে। টুর্নামেন্ট পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক জানিয়েছেন কোয়ার্টার ফাইনালের কথা। বাগাইর মতে,“আলোচনা করে আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত। জিম্বাবুয়ে, কেনিয়া ছাড়াও চার বড় দলের যে কোন একটি কে হারাবো। সেটা সম্ভব না হলে আমার মনে হয় না বিশ্বকাপে খেলার প্রয়োজন আছে। ”

মিনোস কানাডা কিন্তু অঘটন পটুয়েসি। ২০০৩ সালের কথা কোন দিন ভুলতে পারবে না বাংলাদেশের মানুষ। দক্ষিণ আফ্রিকায় সেবার অভিজ্ঞ দল নিয়ে গিয়েও কানাডার কাছে প্রথম ম্যাচ হেরে বসে। খালেদ মাসুদ পাইলটদের সেই ঘটনা এখনো কষ্ট দেয়।

বাংলাদেশ যেমন ভুলতে পারবে না তেমনি কানাডাও ভুলবে না অন্যকারণে। আশিসের মুখেই শোনাযাক কারণটা,“কানাডার জন্য ওই ম্যাচটি বিশেষ মর্যাদার জায়গায় থাকবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম একদিনের ম্যাচ জয় বিশ্বকাপেরও প্রথম। আমি এবং জন ডেভিসন তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলছি। প্রতিমুহূর্তে সেই জয়ের কথা আমাদের মনে থাকবে। ”

বাংলাদেশের বিপরীতে এবারও মাঠে নামছে কানাডা। যদিও আসল ম্যাচ নয়, প্রস্তুতিমূলক। এবারও নিশ্চয় সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা আছে। অভিজ্ঞ এবং তরুণ ক্রিকেটার দিয়ে সাজানো কানাডা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং দুবাইয়ে অনুশীলনের সঙ্গে ম্যাচও খেলেছে। তৃতীয় ভেন্যু বাংলাদেশ খেলবে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এরপর আর উপমহাদেশের ক্রিকেট কন্ডিশন বুঝতে তাদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

কানাডার শক্তি বোলিং। দলের অধিনায়ক জানান, তাদের দু’জন ভালো বোলার আছে। এছাড়া টপ-অর্ডার ব্যাটিংয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে কয়েকজন। সবমিলয়ে উত্তর আমেরিকার দলটি বিশ্বকাপে চমক দেখালে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

‘এ’ গ্রুপের দল কানাডার প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।