ঢাকা: নাঈম ইসলামের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের যে ভালো জুটি হয় অনেকের জানা ছিলো না। শুধু জুটি নয়, ব্যাটিংয়ের সময় নাঈম ভালো পারামর্শকও বটে।
বোলিং এবং ব্যাটিংয়ে এই দু’জনের মধ্যে খুব একটা তফাত নেই। ইচ্ছে করলে নির্বাচকরা যে কোন একজনকে খেলাতে পারেন। আবার দু’জনই খেলতে পারে। কারণটা খুবই সহজ, লোয়ার মিডল অর্ডারে এই দু’জনের ভালো জুটি হয়। আরেকটি উদ্দেশ্য আছে, অনেকদিন হলো এক সঙ্গে খেলে স্লগ ওভারের জন্য তৈরি হয়ে গেছেন মাহমুদউল্লাহ-নাঈম জুটি।
বুধবার উন্মুক্ত সংবাদ ব্রিফিং নাঈম সম্পর্কে মাহমুদউল্লাহকে কিছু বলতে বলা হলে ভালো ভালো অনেক কথা বলেছেন,“নাঈমের সঙ্গে আমার বোঝাপড়াটা ভালো হওয়ার অন্যতম কারণ আমি শটস খেলতে গেলে ও এগিয়ে এসে থামিয়ে দেয়। বলে এখন না, পরে হবে। ও খুব ঠান্ড মাথায় খেলে। অনেক ইতিবাচক ক্রিকেট খেলে। ”
বিশ্বকাপে খেলা একজন ক্রিকেটারের জন্য স্বপ্ন। কয়েকদিন পরে অপেক্ষার পালা ঘুচবে। ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপ অভিষেক হবে মাহমুদউল্লাহ’র। যিনি ব্যক্তিগত পারফরমেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে চান সাফল্যের দিকে। কারণ তিনি তো ‘টিম-ম্যান’ হিসেবে সবার প্রিয়। প্রত্যাশার কথা জানতে চাইলে বলেছেন,“বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারলেই খুশি। ”
সর্বশেষ দুই আন্তর্জাতিক সিরিজে ভালো যায়নি মাহমুদউল্লাহর। তবে প্রিমিয়ার ক্রিকেটে আবাহনীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রানে থেকে। বেশ কয়েকটি ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেছেন জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপ নিয়েও আশার কথা শোনালেন,“ঘরোয়া ক্রিকেটে সাধারণত ওপরের দিকে ব্যাট করি। কিন্তু জাতীয় দলে অনেকদিন হলো সাত নম্বরে খেলানো হয়। এখানে আমি সেট হয়ে গেছি। আশা করি বিশ্বকাপটা ভালো কাটবে। ”
সাকিব, রিয়াদ, নাঈমদের মতো স্পিন অলরাউন্ডার থাকায় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ অনেক লম্বা। আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে এই তিনজন ঠিক মতো জ্বলে উঠলে যে কোন দলের জন্যই ভয়ংকর প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারতের মতো ক্রিকেট পরাশক্তিরা হয়তো সমিহের চোখেই দেখবে টাইগার বাহিনীকে।
আশা-ভরসার মধ্যেও বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে খানিকটা হতাশার ছাপ স্পষ্ট। মশরাফি বিন মুর্তজার বিশ্বকাপ খেলতে না পারা সবাইকে পোড়াচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে ঘুরে ফিরে তাই সবার মুখেই ছিলো মাশরাফির অনুপস্থিতি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১১