ঢাকা: খেলার জন্য ছাড়পত্র পেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার জন্য বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হওয়ায় আপত্তি করেননি ফিজিও মাইকেল হেনরি।
অতএব আবাহনীর মাশরাফি খেলছেন। শুধু খেলছেনই না, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের বিপরীতে আকাশী-নীল শিবিরের নেতৃত্বও দেবেন। এখন প্রত্যাবর্তনটা শুভ হলেই হয়।
খেলায় ছন্দ ফেরাতে সুপার লিগের চতুর্থ রাউন্ড থেকে আবাহনীর জার্সি পড়তে চেয়েছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। কিন্তু ফিজিও’র অনুমতি না পাওয়ায় খেলা হয়নি। আবাহনীও ঝুঁকি নেয়নি। প্রত্যাখ্যাত হয়ে কিছুটা হতাশ ছিলেন। শুক্রবার ফিজিও হেনরির সঙ্গে আলোচনার আগে টিম মিটিংয়ে যোগ দেন মাশরাফি। অবশ্য বিসিবির আরেক চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরীর কাছ থেকে ততক্ষণে সবুজ সংকেত পেয়েছিলেন।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ হওয়ায় আবাহনীও সুযোগটা লুফে নেয়। দ্বিধাদ্বন্দ্ব না করে মাশরাফিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় নেতৃত্ব। পরে দেবাশিষ যোগাযোগ করেন মাইকেল হেনরির সঙ্গে। সবকিছু বিবেচনা করে চট্টগ্রাম থেকে ই-মেইলে ছাড়পত্র পাঠান ফিজিও। টেলিফোনে মাশরাফির খেলার বিষয়ে জানতে চাইলে হেনরি বাংলানিউজকে বলেন,“আমি চট্টগ্রামে। মাশরাফির সর্বশেষ অবস্থা দেখা হয়নি। তবে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় খেলতে পারে। দেবাশিষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। খেলার সুযোগ না পেলে হতাশ হয়ে পড়তো মাশরাফি। সবকিছু বিবেচনা করে খেলার জন্য অনুমতি দিয়েছি। তার জন্য শুভকামনা রইলো। ”
খেলার সুযোগ পাওয়ায় মাশরাফিও খুশি। কথা শুনে মনে হচ্ছিলো এমন একটি দিনের জন্য তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা ছিলেন,“আগের ম্যাচ থেকে খেলতে পারলে ভালো হতো। যেহেতু হয়নি কিছু করার নেই। তবে কালকের ম্যাচটি যাতে ভালো করে খেলতে পারি সেই চেষ্টাই করবো। ”
মোহামেডানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রত্যাবর্তন একটু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেলো কি না জানতে চাইলে নড়াইল এক্সপ্রেস বলেন,“ভাগ্য খারাপ থাকলে যেকোন ম্যাচে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বড় ম্যাচে উত্তেজনা থাকবে, ভালো খেলার তাগিদও আছে। আশা করি কোন সমস্যা হবে না। ”
এদিকে আবাহনীর কর্মকর্তা ও বিসিবির মিডিয়াও বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস শুক্রবার বাংলানিউজকে জানান, বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ এবং ফিজিও মাইকেল হেনরির কাছ থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরই মাশরাফিকে খেলোনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হেনরির কাছ থেকে একটি ই-মেইলও পেয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১১