ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

খেলা

ভারতীয় শিল্পীরা মাতাবেন বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১১
ভারতীয় শিল্পীরা মাতাবেন বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

ঢাকা: একটি জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হতে পারে। হতে পারে ভালো মন্দের মিশেল।

অন্তত এশিয়াটিকের অংশটা দেখে কবি সাহিত্যকরা খুশি হতে পারেন। সাধারণ মানুষকে পুষিয়ে দেওয়া হবে বাকি অনুষ্ঠান দিয়ে।

উইজক্রাফট এবং এশিয়াটিকের সমন্বয়ে দৃষ্টিনন্দন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে বেশ আগে। সেজন্য সরকারের কোষাগারের দ্বারও অবারিত করে দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল থেকে পাওয়া অর্থের সমপরিমাণ যোগ করা হয়েছে চোখ ধাঁধানো অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল ১৭ ফেব্রুয়ারির ওই অনুষ্ঠানের আদ্যপ্রান্ত জানার জন্য মানুষ মুখিয়ে আছেন। কী আছে তাতে, ভারতীয় শিল্পীরা থাকবে, মুম্বাই থেকে স্বপ্নের নায়িকারা আসবেন, শাকিরাকে কী আনা হচ্ছে? এমন হাজারো প্রশ্ন ভীড় করছে সাধারণ মানুষের মনে।

কিন্তু উত্তর সহজে মিলছে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কিছু জানাবে না; চমক দেওয়ার জন্য। ডিসপ্লে এবং সংস্কৃতির অংশটা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চুপিসারে মহড়া হচ্ছে আর্মি স্টেডিয়ামে। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। সেগুলো মানুষের মন ভরাতে পারবে কি না বলা মুশকিল। তবে ভারত থেকে যে সকল সঙ্গীত শিল্পী আনা হচ্ছে তাদের সুরের এবং বাদ্যের তালে তালে অবশ্যই নাচবেন দর্শকরা।

সনু নিগাম, প্রীতম, শংকর এহসান লয় এই তিনজন নিশ্চিত আসছেন। সংখ্যাটা বাড়বে। এছাড়াও থাকবেন বাংলাদেশের কণ্ঠ শিল্পীরা। তবে খুব বেশি নামীদামি কেউ নন। হালে যারা মঞ্চমাতাতে পারেন, ডিজুস যুগের সেই সব শিল্পীদেরকে রাখা হয়েছে। অবশ্য ভারতীয় নায়িকাদের নাচের অনুষ্ঠান নেই বলেই জানিয়েছেন বিসিবির একজন কর্মকর্তা।

কলাম্বিয়ার পপ গায়িকা শাকিরাকে যারা স্বপ্ন দেখছেন, তাদের জন্য দুঃসংবাদ দিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা। বিশ্বকাপের উদ্বোধনীতে তিনি আসছেন না।

ডিসপ্লেতে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের স্কুল মাদ্রাসার ছেলে মেয়েরা। তাদেরকে প্রশিক্ষিত করে তুলছেন সেনা সদস্যরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হবে লেজার শো এবং আতশ বাজি পোড়ানো।

তিন দেশের সংস্কৃতির সমন্বয়ে সাজানো অনুষ্ঠানে; বাংলাদেশের অংশ বেশি থাকবে। বিকেল পাঁচটায় শুরু হয়ে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের অংশে এসএ গেমসের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মকান্ড এবং জীবনী থাকবে।

অনুষ্ঠানে বিশ্বকাপের সবগুলো দলের ক্রিকেটাররা উপস্থিত থাকবেন না। তবে ১৪ দেশের অধিনায়ক একসঙ্গে মঞ্চে উঠবেন। বাংলাদেশে যাদের খেলা এমন ছয়টি দল উপস্থিত থাকবে অনুষ্ঠানে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।