ঢাকা: বিশ্বকাপের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই ফিকে হয়ে আসছে মাশরাফির খেলার স্বপ্ন। নড়াইল এক্সপ্রেসের মনের জোরও খানিকটা কমে এসেছে।
অনুশীলনের ব্যপ্তি প্রতিদিনই বাড়ছে। ঘনিয়ে আসছে পূনর্বাসন প্রক্রিয়ার শেষ সময়। কয়েকটা দিন পরে একদম ফিট মাশরাফিকে পেয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের ক্রিকেট। ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে পরিচর্যার সময়। অবশ্য চাইলে এখনই পুরো লেনথে বোলিং করতে পারেন নড়াইল এক্সপ্রেস। কিন্তু ফিজিও মাইকেল হেনরির নির্দেশিকা মেনে চলতে হয় বলে ঝুঁকিটা নিচ্ছেন না।
তবে আশার আলো এখনো নিভে যায়নি। অন্যের দুর্ভাগ্যের ওপর ঝুলে আছে মাশরাফির ভাগ্য। কেউ একজন অসুস্থ হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে অপারগতা প্রকাশ করলে তবেই না ১৫ সদস্যের দলে সুযোগ দেওয়া যাবে এই পেসারকে।
নিয়তির ভেলায় ভেসে এগুচ্ছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। পাড়ে ভিড়তে চেষ্টার কমতি নেই। পরিচর্যার বেঁধে দেওয়া শেষ সময়ের আগেই প্রিমিয়ার ক্রিকেটের সুপার লিগে একটি ম্যাচ খেলতে চান সাবেক অধিনায়ক। আশার কথা শুনিয়েছেন ফিজিও মাইকেল। বুধবার তিনি বাংলানিউজকে বলেন,“গাইড লাইন মেনে চললে পূনর্বাসনের শেষদিকে আশা করি মাশরাফি একটি ম্যাচ খেলতে পারবে। ”
অবশ্য এতে প্রমাণ হয় না বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়ে যাবেন মাশরাফি। বোলিং কোচ ইয়ান পন্ট তো ভাবতেই পারছেন না বিশ্বকাপ খেলছেন মাশরাফি। প্রশ্ন উঠায় একটু বিস্মিত হয়েছেন,“আমি মাশরাফির কোন সুযোগ দেখছি না। এখন যারা দলে আছে সবাই ফিট। মাশরাফিকে খেলতে হলে একজনকে অসুস্থ হতে হবে। কিন্তু সেটা তো হতে পারে না। ”
প্রধান কোচ জেমি সিডন্সেরও একই মত। তিনি মনে করেন এখনো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে মাশরাফিকে। শুধু বোলিং করতে পারলেই হবে না। ফিল্ডিংয়ে ফিটনেস ভালো হতে হবে। সেটা না হলে পুনরায় চোট আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘন্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১১