ঢাকা: শীতের রোদেও মাশরাফির মুখখানা লাল বর্ণ দেখালো। রোদের চেয়েও পরিশ্রমের ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিলো।
সত্যিই তাই। লিগের শুরুতে ডান হাঁটুতে চোট পাওয়ায় বিশ্রামে থাকতে হয়েছে বেশি সময়। পুর্নবাসন শুরু হয় দুই সপ্তাহ হলো। ধীরে ধীরে এগিয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। তারপরেও বিশ্বকাপ দলে থেকে বাদ পড়ায় কেঁদে ফেলেছিলেন কঠিন হৃদয়ের মাশরাফি।
কিন্তু আশার আলো দেখাচ্ছিলো প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলম এবং অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের একটি বাক্য। ‘মাশরাফির বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যায়নি, ফিট হতে পারলে খেলার সম্ভাবনা আছে। ’
ঘটনা যাই হোক, মাশরাফি চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। বিশ্বকাপের আগে খেলার মতো ফিটনেস ফিরে পেতে মরিয়ে হয়ে উঠেছেন। সেই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডেভিড ইয়াং কিছুটা সাহস দেওয়ায় মঙ্গলবার দেখা গেলো অন্যএক মাশরাফিকে। ১৮ গজ রানআপ নিয়ে সকালে ইনডোরের নেটে বোলিং করেছেন। সঙ্গে ছিলেন বিশ্বকাপ দলের সদস্য তারই সতীর্থ রুবেল হোসেন।
চোট রুবেলের শরীরেও আঘাত হেনেছিলো। কোমড়ে ব্যথা ছিলো। এখন নেই। রুবেল পুরোদমে বল করছেন। যদিও মাশরাফিকে স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে পেতে খানিকটা সময় লাগবে। তবে দু’একদিনের মধ্যে পুরো ২২ গজ দৌঁড়ে নড়াইল এক্সপ্রেস বল করবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ মাশরাফি হাঁটুর জোর অনেকটাই ফিরে পেয়েছেন। মঙ্গলবার তারই মহড়া দিয়েছেন। সাবেক অধিনায়কের মুখেও ছিলো আত্মবিশ্বাসের সুর,“এখন পর্যন্ত কোন অসুবিধা হয়নি। আশা করি শিগগিরই পেস ফিরে পাবো। বোলিংয়ে সমস্যা হবে না। লিগেও খেলতে চাই। ”
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘন্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১১