ঢাকা: প্রিমিয়ার ক্রিকেটের সুপার লিগের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেলো আবহনী লিমিটেড। বিমান বাংলাদেশের কাছে এক উইকেটে হেরেছে তারা।
আবাহনীর পরাজয়ে শিরোপা লড়াই কিছুটা হলেও জমে উঠেছে। পয়েন্ট ব্যবধান কমিয়ে এনেছে সাদাকালো শিবির। যদিও আগের ২০ পয়েন্ট নিয়ে এখনো শীর্ষে আবাহনী। জয় দিয়ে সুপার লিগ শুরু করায় মোহামেডানের সংগ্রহ ১৯ পয়েন্ট। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে গাজী ট্যাঙ্ক ক্রিকেটার্স।
বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই তোপের মুখে পড়ে আবাহনীর ব্যাটসম্যানরা। একের পর এক উইকেট হারালে শেষপর্যন্ত ৪৯.৪ ওভারে ১৯০ রানে অল-আউট হয় রানার্সআপরা। জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতিতে আকাশী-নীল শিবিরে ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান রেশমি রঞ্জন ৪২ ও দেশের তরুণ ক্রিকেটার আলাউদ্দিন বাবু ৫৭ রান করেন। ১০ ওভারে ২৯ রান দিয়ে তিনজন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে আবাহনীর ইসিংসে ধ্বস নামান মূলত জাতীয় দলের সাবেক পেসার ডলার মাহমুদ। এছাড়া মনোয়ার হোসেন ২৬ রানে ও শফিউল হক চার ওভারে ১৫ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট নেন।
আবাহনীর বোলিংয়ে খোলস বন্দি হয়ে পড়ে বিমানের ব্যাটিং। ১০৯ রানের মধ্যে সাত উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে ডলার ৪৫ বলে ৫৪ রান তুলে দলের জয় নিশ্চিত করেন। আবাহনীর পক্ষে জাতীয় দলের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার মো. রফিক তিনটি এবং আলাউদ্দিন বাবু চারটি উইকেট নেন। কিন্তু তাদের সাফল্য মলিন হয়ে যায় বিমানের জয়ে।
সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের মতো তারকা ক্রিকেটার ছাড়াও বিকেএসপি মাঠে দাপটের সঙ্গে খেলে মোহামেডান। খালেদ মাসুদের ৫৪, শামসুর রহমানের ৪০ ও ফয়সাল হোসেনের ৬৩ রানের ইনিংস তিনটি মিলিয়ে অল-আউটের আগে মোহামেডানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২০ রানে।
জবাবে শোয়েব মালিক ৬.৩ ওভারে পাঁচ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে সিসিএসের ইনিংসে ধ্বস নামান। ১১৬ রানে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে বসে সিসিএস।
রাজশাহী শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৬৬ রানে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে বসে ওল্ডডিওএইচএস। মেহরাব হোসেন সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন। গাজীর সাব্বির রহমান, মো. আজিম ও সানজামুল হক দুটি করে উইকেট নেন। এর জবাবে মো. মিঠুনের ৭৯, আমির সাজ্জাদের হার না মানা ৫১ ও নাসির হোসেনের অপরাজিত ২৬ রানে ২৫ ওভারে জয় নিশ্চিত করে গাজী।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘন্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১১