কক্সবাজার: কক্সবাজার জেলা স্টেডিয়ামের সামনে দাঁড়ালেই উৎকট গন্ধ নাকে ভেসে আসে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়ের ভেতরেও একই অবস্থা।
বিশেষ করে শুটকির গন্ধে দমবন্ধ হয়ে আসার যোগার। অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সহ্য করেই জেলা স্টেডিয়ামে খেলতে আসেন স্থানীয় ছেলেমেয়েরা। সেখানেই ৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর হবে দক্ষিণ এশিয়ান মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ।
ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল ও স্বাগতিক বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য এরচেয়েও ভয়াবহ অবস্থা অপেক্ষা করছে। জেলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি জীর্ণশীর্ণ। ১০ বছর আগেই স্টেডিয়াম ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করে গণপূর্ত বিভাগ। তারওপরই জোড়াতালি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে প্রেসবক্স ও খেলোয়াড়দের বসার জায়গা।
স্টেডিয়ামের এই পরিস্থিতির জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকেই দোষারোপ করলেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন,“আমরা অনেক বছর ধরে এই স্টেডিয়ামের মানোন্নয়নে চেষ্টা করেও সফল হতে পারিনি। প্রথম দক্ষিণ এশিয়ান মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষে ক্রীড়া পরিষদকে বাজেট দিয়ে ছিলাম। তারা বলেছে এত অল্প সময়ের মধ্যে পুরো সংস্কার সম্ভব নয়। তাদের প্রস্তাবেই অস্থায়ী সংস্কারের জন্য চারদিন আগে ১০ লাখ টাকা চেয়ে বাজেট দেই। তারও উত্তর পাইনি। ”
কথাগুলো বলতে বলতে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন সাধারণ সম্পাদক। কান্নাজড়ানো কন্ঠে বলেন,“২৪ বছর বয়স থেকে সংগঠক হিসেবে কাজ করছি। খেলার জন্য নিজের গাটের পয়সা খরচ করি। অথচ জেলার একটি মাত্র মাঠের উন্নয়নে কারো সহযোগিতা পাই না। ”
অবশ্য সাফ ফুটবল উপলক্ষে স্টেডিয়ামের খেলার মাঠ উন্নয়ন করে দিচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কাজও শুরু হয়ে গেছে। এবিষয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান বাফুফে কর্মকর্তা মঞ্জুর হোসেন মালু শুক্রবার টেলিফোনে বাংলানিউজকে বলেন,“স্টেডিয়ামের অবকাঠামো উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তিনি আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন, খেলার আগেই সব ঠিক হয়ে যাবে। বাফুফে শুধু মাঠ ঠিক করে দেবে। সেই শর্তেই কক্সবাজারকে ভেন্যু করা। আমার বিশ্বাস যথা সময়ে কাজ শেষ করতে পারবে স্থানীয় আয়োজকরা। ”
মালু জানান, স্টেডিয়াম ভবন এবং গ্যালারি সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক সুবিধা পাবে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। এরই মধ্যে টাকার নিশ্চয়তাও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ভেন্যু পর্যবেক্ষণে শনিবার দুপুরের মধ্যেই কক্সবাজারে আসবেন বাফুফের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘন্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১০