ঢাকা: “ফাইনাল খেলতে না পারলে আমার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতো। তাই ১-০ গোলের জয়ে আমি সন্তুষ্ট।
কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে খেলার ৮৫ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন তৌহিদুল আলম সবুজ।
পেশাদার লিগে নবাগত শেখ জামাল ক্লাব জাতীয় দলের তারকায় ঠাসা হলেও আশানুরূপ খেলা দেখাতে পারেনি। সেমিফাইনালে এসেছে অনেকটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। দুই ড্র এবং এক জয় নিয়ে সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
কাগজে-কলমে সেরা হলেও মুক্তিযোদ্ধা এবং শেখ জামালের খেলা তেমন মন ভরাতে পারেনি। বলের লড়াইয়ে ছিল না কোনো আকর্ষণ। সাত মিনিটেই শেখ জামালকে হতাশায় ডোবাতে পারতো মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু তাদের উল্টো হতাশ করেন গোলরক আমিনুল। ডি বক্সের বাইরে জটলার মধ্য থেকে মারুফের আচমকা শট কর্নারের বিনিময়ে রা করেন শেখ জামালের অধিনায়ক।
১২ মিনিটে শেখ জামালের আক্রমণ। ৩০ গজ দূর থেকে জাহিদের নেওয়া ফ্রি কিক বিপ্লব ঝাঁপিয়ে পড়ে বিপদ মুক্ত করেন মুক্তিযোদ্ধাকে। ১৩ মিনিট পরেই বক্সের ভেতরে আরো একটি সহজ সুযোগ হারান মুক্তিযোদ্ধার বিদেশি খেলোয়াড় বোকুলা। ৩৮ মিনিটে আবারো গোলের হাতছানি ছিলো মুক্তিযোদ্ধার সামনে। কিন্তু হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই রজনী কান্ত বর্মনের নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধার ফুটবলাররা চেপে ধরেন নবাগত শেখ জামালকে। একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে পড়ে জাতীয় দলের আদলে গড়া দলটি। এতেও সুবিধা করতে পারেনি। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক আমিনুলের কাছে বাঁধা পড়েন ফরোয়ার্ডরা।
আক্রমণে ব্যর্থ মুক্তিযোদ্ধা ৮৫ মিনিটে গোল খেয়ে বসে। জাহিদের থ্রু পাস থেকে বক্সের ভেতর থেকে কোনাকুনী শটে নিশানা ভেদ করেন সবুজ। নির্ধারিত সময় শেষে উল্লাসে ফেটে পড়ে শেখ জামাল।
মুক্তিযোদ্ধা কোচ মারুফুল হক হারের কারণ দেখিয়েছেন, চোট পাওয়ায় নাইজেরিয়া স্ট্রাইকার বোকুলা দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে না পারাকে। এছাড়া মাঝমাঠও শেষদিকে ছন্দ হারিয়েছিলো মনে করেন তিনি।
আগামী ৩০ অক্টোবর একই ভেন্যুতে ফাইনালে লড়বে দুই ভাইয়ের দুই দল আবাহনী ও শেখ জামাল।
বাংলাদেশ সময: ২০০৩ ঘন্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১০