ঢাকা: জার্মানির গোল উৎসবের দিনে পাত্তাই পেলো না ইংল্যান্ড। থমাস মুলারের জোড়া গোলে ইংলিশদের ৪-১ এ বিধ্বস্ত করে দ্বিতীয় দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানি।
বারুদ গতিতে শুরু। ১৮ মিনিট পর্যন্ত চলে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। এরপরই চমক দেখায় জার্মানি। ১৯ মিনিটে নিশানা ভেদ করেন মিরোস্লাভ কোসা।
ব্লুমফন্টেইনের ফ্রি স্টেট স্টেডিয়ামে জমে ওঠে ম্যাচ। সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠে ইংল্যান্ড। কিন্তু গতিদানবরা ছোটে তেজি ঘোড়ার মতো। পাল্টা হানায় আদায় করে নেয় দ্বিতীয় গোল। ৩৩ মিনিটে থমাস মুলারের পাস থেকে বল জালে জড়ান লুকাস পোডলস্কি। ২-০’তে এগিয়ে যায় তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ইংল্যান্ড খানিক বাদেই কমিয়ে আনে ব্যবধান। স্টিভেন জেরার্ডের ক্রস থেকে হেডে গোল করেন ম্যাথু আপসন।
এখানেই শেষ নয়। বিরতির আগেই সুযোগ এসেছিলো সমতায় ফেরার। কিন্তু ভাগ্যদেবীর বর পায়নি ওয়েনে রুনিরা। রেফারির ভুল সিদ্ধান্ত গোলবঞ্চিত হয় ইংল্যান্ড।
৩৮ মিনিটে ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের জোড়ালো শট ক্রসবারের নিচে ধাক্কা খেয়ে গোলের সীমানা ছুঁয়ে বেরিয়ে আসে । আবেদন করেছিলেন ল্যাম্পার্ড। কিন্তু সাড়া দেননি উরুগুয়ের রেফারি জর্জ ল্যারিওন্দা। বিরতি পর্যন্ত ২-১ গোলে এগিয়ে থাকে জার্মানি।
১০ মিনিটের বিশ্রাম শেষে নতুন উদ্যোমে ঝাপিয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। দারুণ কিছু সুযোগও তৈরি করে। ৫১ মিনিটে ৩০ গজ দূর থেকে ফ্রি কিক নিয়েছিলেন ল্যাম্পার্ড। তাতে বাঁধা সাধে গোলপোস্ট।
গোলের নেশা পাগল করে তোলে জার্মানদের। একে একে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৪-১ এ। শেষ গোল দু’টি করেন থমাস মুলার।
বাস্তিয়ান শোয়েনস্তেইগারের অসাধারণ পাস থেকে ৬৬ মিনিটে নামের পাশে প্রথম গোল লেখান মুলার। ৩-১ এগিয়ে যায় ৯০’এর চ্যাম্পিয়নরা।
৩ মিনিট পরে আবারো গোল! ইংল্যান্ডের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকেন মুলার । এবার বলের যোগান দাতা ছিলেন মেসুত ওজিলের।
এ জয়ে ২০০২ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইংল্যান্ডের কাছে ৫-১ গোলে হারের মধুর প্রতিশোধ নিলো তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা।
৩ জুলাই কেপ টাউনের গ্রিন পয়েন্ট স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানি মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা অথবা মেক্সিকোর।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৮ ঘন্টা, ২৭ জুন, ২০১০
এএইচবি/এসএ