ঢাকা: নিরাপত্তা ও গেম পল্লীর অব্যবস্থাপনার অভিযোগে অনেক দেশ খেলতে চাইনি দিল্লির কমনওয়েলথ গেমেসে। শঙ্কা আর হতাশার সেই অধ্যায় পেরিয়ে রোবাবার জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পর্দা উঠছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এই প্রতিযোগিতার।
নাচ, গান ও লেজার রশ্মির আলোকচ্ছটায় প্রিন্স চালর্স আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ১৯তম কমনওয়েথ গেমেসের। ৩ থেকে ১৪ অক্টোবর এই প্রতিযোগিতার ১৭টি ডিসিপ্লিনে অংশ নেবে ৭১টি দেশের প্রায় সাত হাজার অ্যাথলেটস।
১১ দিনের এই আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে মুখিয়ে ছিলেন বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক। ৬০ হাজার দর্শক সরাসরি মাঠে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল ও ইংল্যান্ডের প্রিন্স চার্লস ও তার স্ত্রী ক্যামিলা। এছাড়া ছিলেন বিখ্যাত খেলোয়াড়রাও।
অনুষ্ঠানটি সাত ভাগে ভাগ করে উপস্থাপন করা হয়। পর্বগুলো: রিদম অব ইন্ডিয়া (রিওআই)’র পর্বে দেশের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা পাঁচশ ড্রাম বাদক সুরের মূছর্না তৈরি করেন। গ্রেট ইন্ডিয়া জার্নি (জিআইজে)’র মাধ্যমে ভারতীয়দের জীবনযাত্রা ফুটিয়ে তোলা হয় বিগ ক্যানভাসে। ৩০ মিনিট ধরে নাচের অনুষ্ঠান উপভোগ করেন দর্শকরা।
দুই হাজার স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী শারীরিক ও মানসিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ভারতীয় যোগ বিষয়ে পারফর্ম করে। রাজস্থানের পাপেটস এবং দ্য নলেজ ট্রি পর্বে বেদ ও ভারতীয় কাসিক্যাল সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে শেষ হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
তিন ঘন্টা ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে পারফর্ম করে প্রায় সাত হাজার শিল্পী। নৃত্য পরিবেশন করে উরিষ্যার প্রিন্স গ্রুপ। এছাড়া হাজির হয়েছিলেন অনেক বলিউড তারকা।
কমনওয়েলথ গেমসের থিম সং“জিও, উঠো, বাধো, জেতো“এর গীতিকার অস্কার বিজয়ী এআর রহমানও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘন্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১০