ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

তামিমের অভিযোগ এনায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১০
তামিমের অভিযোগ এনায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে

ঢাকা: মাশরাফি, সাকিবদের কাছাকাছি থেকেও নিজেকে বড্ড একা মনে হয় তামিমের। বাঁহাতে অস্ত্রোপচারের পর থেকে এই এক যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।

অস্বস্তিটা বেড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার একদিনের ক্রিকেট সিরিজ ঘনিয়ে আসায়। সতীর্থদের সঙ্গে সাজঘরে থাকার লোভ সামলাতে পারছেন না তামিম।

খেলা চলাকালে বাংলাদেশ দলের সাজঘরে প্রবেশের অনুমতি পেতে বোর্ডের দ্বারস্থ হয়েছেন তামিম ইকবাল। সে জন্য দরকার একটি অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড। সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) অনুমোদন। সুবিধাগুলো দিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র আপত্তি নেই। অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড তৈরি হয়েও আছে। কিন্তু সেটা এখনও হাতে পাননি তামিম। এনিয়ে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপর একটু বিরক্ত মারকুটে এই ব্যাটসম্যান। জাতীয় দলের অপরিহার্য ক্রিকেটার বলে রোববার সকাল সকাল তামিমের ঝাঁঝালো কথাও হজম করতে হলো ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের দুই সহকারী ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম সেলিম এবং সাব্বির খানকে।

সহকারী দুই ম্যানেজার অনেক করে তামিমকে বোঝাতে চেষ্টা করেন বিষয়টি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। চাইলে চটজলদি সব ব্যবস্থা করা সম্ভব হয় না। বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমোদন দরকার হয়। অন্তত ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যানের আনুমোদন লাগে।

ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন সিরাজকে নিয়ে এরপরই মন্তব্য করে বসেন তামিম। দুই সহকারী ম্যানেজারকে বলেন, আপনাদের চেয়ারম্যানই সমস্যা তৈরি করেন। সবকিছুতে ওনার অনুমতি লাগবে কেন? ওনার কারণেই আমি নির্ধারিত সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় চিকিৎসা করাতে পারিনি। ”

তামিমের দাবি ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফেরার পরই অস্ট্রেলিয়ায় হাতের চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এনায়েত হোসেন সিরাজ বিষয়টি আমলে নেননি। বলেন,“২০ আগস্ট অস্ত্রোপচার করানো সম্ভব হলে এখন সুস্থ হয়ে এই সিরিজে খেলতে পারতাম। ”

অস্ট্রেলিয়ায় চিকিৎসা নিতে যাওয়ার আগেও ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন তামিম। বিসিবি থেকে বিমানের প্রথম শ্রেণীর টিকিট না দেওয়ায় ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সহকারী ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম সেলিমের সঙ্গেও উগ্র ব্যবহার করেন। এমনকি বোর্ডের টাকায় অস্ট্রেলিয়ায় যেতে রাজি ছিলেন না। অনেক বোঝানোর পর শেষে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তামিম। সহকারী ম্যানেজার সেলিমের কাছে ঘটনার জন্য দুঃখ (সরি) প্রকাশও করেন। এরপর ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তামিমের হাতের চিকিৎসা করানো হয়।

তামিমের চিকিৎসা বিলম্ব করার বিষয়ে ক্রিকেট এনায়েত হোসেন সিরাজ বাংলানিউজকে বলেন,“তামিম অন্যের কথায় প্রভাবিত হচ্ছে। সে এখন স্বাভাবিক আচরণের বাইরে চলে যাচ্ছে। ফিজিও যেভাবে বলেছে সেভাবেই তার চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে। এখন এগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন। ”

সিরাজ জানান, ইংল্যান্ড সফর শেষ করেই সে মালয়েশিয়া বেড়াতে গিয়েছিলো। হাতের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় না থেকে মালয়েশিয়া গিয়েছিলো কেন? এছাড়া সব কিছুই তো একটা নিয়মের মধ্য দিয়ে চলে। নিয়মের বাইরে আমরা কিছু করতে পারি না।

এদিকে বিসিবি পরিচালকদের মধ্যে রোববারের ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর ভোল পাল্টে ফেলেন তামিম ইকবাল। টেলিফোনে বাংলানিউজকে বলেন,“আসলে তিনি দুষ্টামি করেছিলেন। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যানকে ঠাট্টা করে মন্তব্যটা করেছেন!”

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘন্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।