ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

লন্ডন

গ্রুপিং মিটিয়ে দলকে শক্তিশালী করার তাগিদ শেখ হাসিনার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
গ্রুপিং মিটিয়ে দলকে শক্তিশালী করার তাগিদ শেখ হাসিনার

প্যারিস, ফ্রান্স থেকে:আগামী নির্বাচনের আগে দলের বিভিন্ন স্তরে নেতাকর্মীদের মধ্যে থাকা গ্রুপিং মিটিয়ে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার নির্দেশনা দিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর প্যারিস সফররত আবাসস্থল ইন্টারকন্টিনেন্টাল প্যারিস লা গ্র্যান্ড হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে হবে।


যারা পার্টির জন্য, দলের জন্য এতটুকু ত্যাগ স্বীকার করতে না পারে, তারা আবার নেতৃত্ব দিবে কীভাবে? সবাই মিলে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ আবারো নির্বাচিত হবে- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনে নির্বাচন, এ নির্বাচনে আমাদের জয়ী হতে হবে। জনগণ আমাদের পক্ষে, তারা আমাদের ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে এবং ভোট দেবে।

তিনি বলেন, কেউ যেন ষড়যন্ত্র করতে না পারে। নিজেদের মধ্যে বিভক্তি থাকলে সেখান থেকে ষড়যন্ত্র ঢুকতে পারে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র কিছু করতে পারে না।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, নির্বাচন খুব কাছে। এই ডিসেম্বর পার হলেই ২০১৮। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে ২০১৮ এর ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে। হাতে আছে মাত্র এক বছর। আরও তিন মাস আগে থেকে নির্বাচনের ‍কার্যক্রম শুরু করতে হবে। সেখানে হিসেবে করলে হাতে আছে নয় মাস।

তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়নের কাজগুলো খুব দ্রুত করতে চাইছি। উন্নয়নের ছোঁয়াটা যেন সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আর কখনো কেউ থামাতে পারবে না।

ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। যারা ’৭৫ এর পর ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে পেছনে টেনে নিয়েছিলো, ওই আল বদর, আল শামস, যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, তাদের হাতে আমাদের লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত পতাকা তুলে দিয়েছিলো। জাতির পিতার হত্যাকারীদের দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলো। অপকর্ম যারা করেছে, যারা মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাবিরোধী, তারা যেন আর কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে না পারে।

‘তারা যেন ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে না পারে এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে। তাদের লুটপাট, খুন, দুর্নীতির বিষয়ে মানুষকে সজাগ করতে হবে। তাদের ক্ষমতায় আসা মানে আবার মানুষ খুন করা, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, লুটপাট করা। ’


শেখ হাসিনা আরো বলেন, এরা দেশের কী উন্নতি করবে? এরা দেশের মানুষের কী কল্যাণ করবে? ছিলো তো ক্ষমতায়, দেশের উন্নতি না হলেও নিজেদের উন্নতি হয়েছে। দুর্নীতির টাকা, অবৈধ সম্পদ বানাতে পেরেছে। দেশের মানুষের ভাগ্য তো পরিবর্তন করতে পারেনি। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করলে করেছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষ কিছু পায় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় বাংলাদেশের মানুষ কী দেখতো, আর এখন কী দেখে? শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর যেসব দেশে বিপ্লব হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, এভাবে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে, সেখানে যারা সংগ্রাম করেছে, আত্মত্যাগ করেছে, তারা যখন সরকারে এসেছে- তখনই সেদেশের উন্নতি হয়েছে।

** রোহিঙ্গা সংকট মারাত্মক প্রভাব ফেলছে বন-পরিবেশে
** রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কাজ করবে ফ্রান্স

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
এমইউএম/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।