ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মালয়েশিয়া

সামিটের সমাপনীতে মালয়েশিয়াকে সেকেন্ড হোম বানানোর আহ্বান

কুয়ালালামপুর করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৬
সামিটের সমাপনীতে মালয়েশিয়াকে সেকেন্ড হোম বানানোর আহ্বান ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

যননিকা নামলো প্রথম বাংলাদেশ গ্লোবাল সামিটের। রোববার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরের বার্জায়া টাইম স্কয়ারের ম্যানহাটন হলে অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন (আয়েবা) আয়োজিত সামিট শেষ হয়।  

বার্জায়া টাইম স্কয়ার (কুয়ালালামপুর): যননিকা নামলো প্রথম বাংলাদেশ গ্লোবাল সামিটের। রোববার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরের বার্জায়া টাইম স্কয়ারের ম্যানহাটন হলে অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন (আয়েবা) আয়োজিত সামিট শেষ হয়।

 

সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন মালয়েশিয়ার পর্যটন ও সংস্কৃতিমন্ত্রী দাতো সেরি মোহাম্মদ নাজরি বিন আব্দুল আজিজ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম। আরো ছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

আয়েবা সেক্রেটারি কাজী এনায়েত উল্লাহ সমাপনী অধিবেশনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। হাই কমিশনার তার বক্তব্যে পল্লীকবি জসিম উদ্দিনের ‘আমার বাড়ি যাইও ভ্রমর বসতে দেবো পিঁড়ে’ কবিতা ও ফকির আলমগীরের ‘ও সখিনা গেছস কি না ভুইলা আমারে’ গানটির উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলা সংস্কৃতির স্বরূপ তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মালয়েশিয়ার পর্যটনমন্ত্রী বাংলাদেশিদের আরও বেশি মালয়েশিয়ায় আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আপনারা থাকার জন্য মালয়েশিয়ায় আসুন। মালয়েশিয়াকে আপনাদের সেকেন্ড হোম বানান।

সমাপনী অধিবেশন শেষে শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর মাধ্যমে শেষ হয় দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ গ্লোবাল সামিট।

দ্বিতীয় দিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পর্যটন বিষয়ক চারটি সেমিনারে অংশ নেন প্রবাসীরা।

এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ও স্কলাররা তাদের সাফল্যের প্রজেক্ট উপস্থাপন করেন।

সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের কার্যকর পদ্ধতি, ভ্রমণ ভিসাকে অভিবাসী ভিসায় রূপান্তর করার উপায়, ব্যবসার সুযোগ তৈরি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বাংলাদেশকে বলা হয় অন্যতম বিনিয়োগ গন্তব্য। বর্জ্য থেকে পানযোগ্য পানি পরিশোধনের প্র্রক্রিয়া ফুটিয়ে তোলা হয় মালটিমিডিয়া প্রজেক্টরে। তুলে ধরা হয় বাংলাদেশের পর্যটন সম্ভাবনা, সমস্যা ও করণীয়।

এর আগে প্রথম দিনের (১৯ নভেম্বর) শেষ অধিবেশনে প্রবাসীদের কল্যাণে সংবাদ কর্মীদের আরো সচেতন হওয়ার তাগিদ দেন বাংলাদেশের সিনিয়র সাংবাদিকরা।

সামিটের স্বাগত বক্তব্যে সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম।

মধ্যাহ্নভোজের পর শুরু হয় বিশেষায়িত কর্মশালা। এতে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসী এবং বাংলাদেশিদের সম্ভাবনা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৬
এমএ/জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad