ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

রাশিয়া

পরমাণু বিদ্যুতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন দেশ

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৬
পরমাণু বিদ্যুতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন দেশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মস্কো (রাশিয়া) থেকে: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কার্বন ফ্রি(দূষণমুক্ত) বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে পরমাণু থেকে। উন্নয়নশীল অনেক দেশ এতে যুক্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মহাপরিচালক আজেন্তা রিজিং।

সোমবার (৩০ মে) রুশ ফেডারেশনের রাজধানী মস্কোর গসতিননি দোভর’এ (gostinny dvor) অষ্টম ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম অ্যাটমএক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিন দিনব্যাপী এই এক্সপো স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় (বাংলাদেশ সময় ১টায়) উদ্বোধন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘Nuclear Power as a Basis for Zero Carbon Energy Balance’।

প্রতিনিয়ত নতুন নতুন দেশ পরমাণু বিদ্যুতে যুক্ত হচ্ছে। আর রাশিয়া ভালো ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেন আজেন্তা রিজিং।

রাশিয়ার ন্যাচারাল রিসোর্সেস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট মিনিস্টার এস ডনস্কয় বলেন, আজকের দিনে নিউক্লিয়ার এনার্জি পরিবেশবান্ধব শূন্য কার্বন নির্গমণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আজকের দিনের গ্রিন অ্যানার্জি হচ্ছে নিউক্লিয়ার। রাশিয়া এতে ভালোভাবেই ভূমিকা পালন করছে।
আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি অথরিটির (আইএইএ) উপ-মহাব্যবস্থাপক এমভি চুদাকভ (MV chudkov) বলেন, দিনে দিনে আরও অনেক উন্নয়নশীল দেশ এতে যুক্ত হচ্ছে। তবে নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

চুদাকভ বলেন, ‘আইএইএ শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ নিউক্লিয়ার কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি’ আগামীর বিশ্ব হবে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ’।

ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব নিউক্লিয়ার অপারেশনের (ডব্লিউএএনও) জাকো রিগার্দো বলেন, নিউক্লিয়ার অ্যানার্জি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে। ঠিক তখনই নতুন নতুন আরও অনেক দেশ এ প্রকল্প গ্রহণ করছে।
তিনি বলেন, নিউক্লিয়ারের নিরাপত্তা মৌলিক অধিকার। তবে দিন দিন এই প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে নিরাপদ পরিচালনা।

জাকো রিগার্দো বলেন, আমরা চেরনোবিলের দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখেই ম্যাথড উন্নয়ন করেছি।     

রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় আণবিক শক্তি কর্পোরেশন  রসাটম’র মহাপরিচালক এসভি ক্রিয়েনকো বলেন, নিউক্লিয়ার অ্যানার্জিতে অনেক মৌলিক পরিবর্তন এসেছে। নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করা হচ্ছে পরিবেশ।
 
অষ্টম ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমএক্সপো-২০১৬ এ প্রদর্শনীর পাশাপাশি সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সেশনে অংশ নিচ্ছেন পরমাণু বিশেষজ্ঞ, আমলা, পরিবেশবাদী ও রাষ্ট্রীয় পলিসি মেকাররা। বাংলাদেশসহ ৫৫ দেশের সহস্রাধিক প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান রসাটম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৬
এসআই/এএসআর

** পর্দা উঠলো মস্কো এটম এক্সপো-২০১৬

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।