ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

স্পেন

থাইল্যান্ড থেকে জেসমিন পাপড়ি

গাড়ির হর্নবিহীন শহর

জেসমিন পাপড়ি, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৫
গাড়ির হর্নবিহীন শহর ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

Jasmin_papri_1ব্যাংকক, থাইল্যান্ড থেকে: হাজার হাজার গাড়ি। সবারই যাওয়ার তাড়া।

কিন্তু একে অপরকে ওভারটেক করে যাওয়ার অস্থির প্রতিযোগিতা নেই। নেই হর্নের শব্দও। ইউরোপ-আমেরিকার কোনো শহর নয়, বলছি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের কথা।

গাড়িতে থাকা হর্নটির সংযোজনই যেন বৃথা এখানে। পুরো শহরজুড়ে ট্যাক্সি, বাস, প্রাইভেটকার আর মোটরসাইকেলের রাজত্ব। এ শহরেও গাড়ির জটলা কোনো অংশে কম নয়। তারপরও হুটহাট লেন বদল করে আগে যাওয়ার প্রবণতা নেই কারো মধ্যে। সিগন্যালে সবুজ বা লাল বাতি জ্বলে ওঠার আগ মুহূর্তে গগণবিদারী হাইড্রোলিক হর্ন বাজান না কেউ।

পুরো থাইল্যান্ডের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ রাজধানীতে বসবাস করায় যানজট নাগরিক জীবনের অংশ ব্যাংককেও। তবে হর্নের আওয়াজ না থাকায় যানজটের শহরটাও যেনো এক ‘নীরব শহর’।

স্থানীয়রা জানান, অল্প সময়ে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাংককের উন্নতিতে এখানকার মানুষের জীবনযাত্রারও ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। এর বিপরীতে রাস্তা, ফ্লাইওভার, গণপরিবহন, স্কাইট্রেন থাকলেও তা অপর্যাপ্ত। তবুও প্রতিটি গাড়ি ট্রাফিক সিগন্যাল মেনেই চলে। ফাঁকা রাস্তায় লালবাতি জ্বলতে দেখলেও গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। সড়কে তেমনভাবে কোনো ট্রাফিক পুলিশও চোখে পড়ে না।

ঢাকার মতো ব্যাংককের সড়কেও মোটরসাইকেলগুলো যেনো একটু বেশি স্বাধীন। দ্রুতগতি থাকলেও উল্টোপথে যাওয়ার কিংবা হর্ন বাজানোর প্রবণতা চোখে পড়েনি।

ব্যাংকককে ট্যাক্সির শহর বললেও ভুল হবে না। গণপরিবহনের তুলনায় পর্যটকদের জন্য ট্যাক্সিতে চলাচল সহজ। সামনে লাল বাতি জ্বলতে দেখলে খালি ভেবে ইশারা দিলে থেমে যাবে ট্যাক্সি।

দেখা গেলো, দুই লেনের কিছু রাস্তায় ট্যাক্সি থেমে যাওয়ায় পেছনের গাড়ি যাওয়ার সুযোগ থাকেনা। তারপরও পেছনে থাকা গাড়িগুলো হর্ন চাপে না। কিংবা রংসাইড লেন ব্যবহার করে ওভারটেক করে না।
 
হর্ন না বাজানোর বিষয়ে এক চালক জানান, থাই ট্রাফিক আইনে হর্ন দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। হর্ন বাজালেই ৫০০ বাথ (১ বাথ সমান ২.১৮ টাকা) জরিমানা গুনতে হবে।

‘হর্ন কেন বাজান না’ এমন প্রশ্ন শুনে হেসে দিলেন অপর এক ট্যাক্সি চালক। ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বসলেন -‘কেন বাজাবো? হাসপাতাল আর পর্যটকের শহর ব্যাংকক। একথা মাথায় রাখার পাশাপাশি সব মানুষের স্বস্তির কথা বিবেচনা করেই হর্ন বাজানো হয় না। আর আইন তো আছেই। ’

** সময়ানুবর্তী রিজেন্ট এয়ার
** কলম দেখলেই এগিয়ে আসেন তারা!

বাংলাদেশ সময়:০৮৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৫
জেপি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।