ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

স্পেন

থাইল্যান্ডে উদ্ধার বাংলাদেশিদের দেখে এলেন রাষ্ট্রদূত

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২১ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৫
থাইল্যান্ডে উদ্ধার বাংলাদেশিদের দেখে এলেন রাষ্ট্রদূত

ঢাকা: থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের সংখলা প্রদেশের একটি গণকবর থেকে উদ্ধার ১৫ বাংলাদেশির সঙ্গে দেখা করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম।

দু’দিনের জরুরি সফরে শুক্রবার (৮ মে) সংখলার সাদাও জেলায় গিয়ে ওই বাংলাদেশিদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও থাইল্যান্ডে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাষ্ট্রদূত জানান, সাদাওয়ের গভীর জঙ্গলের গণকবর থেকে উদ্ধার টোটন সাহাসহ (২৮) বাংলাদেশি দাবিদার মোট ১৫ জনের সঙ্গে দেখা করেন তিনি ও তার সঙ্গীরা। এসময় উদ্ধার বাংলাদেশিদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাও বলেন তারা।

এ বিষয়ে থাইল্যান্ডে নিযুক্ত দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশের নিরাপত্তায় সাদাওয়ের জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশিদের দেখে এসেছেন রাষ্ট্রদূত। এসময় তিনি টোটন সাহার সঙ্গে প্রায় দু’ঘণ্টা বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন এবং তার আশু সুস্থতা কামনা করেন। রাষ্ট্রদূত ওই বাংলাদেশির কাছে তার পাচার হওয়ার বিষয়াদিসহ দুঃসহ অভিজ্ঞতা ও জাতীয়তা নিশ্চিতে তার স্থায়ী ঠিকানা জানতে চান। জবাবে টোটন নিজেকে নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা দাবি করেন। রাষ্ট্রদূতও টোটনের বাংলাদেশি জাতীয়তা নিশ্চিত হওয়ার পর থাই সরকারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে নিরাপদে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে আশ্বস্থ করেন।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, একইদিন রাষ্ট্রদূত ও তার সঙ্গীরা সংখলার রাথাফুম জেলায় উদ্ধার অভিবাসীদের রাখা একটি প্রটেকশন সেন্টার পরিদর্শন করেন এবং সেখানে বাংলাদেশি দাবিদার ১৫ জনের সঙ্গে কথা বলেন।

পরে রাষ্ট্রদূত সংখলা প্রদেশের ভাইস গভর্নর একারত লেসেন ও থাই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং মানবপাচারের শিকার বাংলাদেশিদের দেখাশোনা করার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান।

রাষ্ট্রদূত সেখানকার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করেন যে- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অপরাধী চক্রের মানবপাচারসহ এ ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ড বন্ধে সম্ভাব্য সকল কঠোর পদক্ষেপ নেবেন। এরপর রাষ্ট্রদূত থাই সামাজিক উন্নয়ন ও মানব নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ট কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দেখা করেন এবং মানবপাচার রোধে যৌথ পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করেন।

বিবৃতিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রদূত তাসনিম ও তার সঙ্গীরা সংখলা ছেড়ে যাওয়ার পর দূতাবাস থাই পুলিশের কাছ থেকে জানতে পারে, ওই দিন থাই-মালয়েশিয়ান সীমান্ত থেকে আরও ১২৩ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৯২ জন নিজেদের বাংলাদেশি বলে দাবি করেছেন। তাদের এখন রাথাফুম পুলিশ স্টেশনে রাখা হয়েছে। এদের সঙ্গেও দূতাবাস দেখা করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৫/আপডেট ১১২২ ঘণ্টা
জেপি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।