ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

স্পেন

থাইল্যান্ডে উদ্ধার বাংলাদেশির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা দূতাবাসের

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৫
থাইল্যান্ডে উদ্ধার বাংলাদেশির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা দূতাবাসের ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: থাইল্যান্ডের গণকবরের পাশে উ‌দ্ধার হওয়া বাংলাদেশির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। গণকবরে বাংলাদেশির মরদেহ রয়েছে কিনা তাও জানার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।



রোববার এ তথ্য জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও থাইল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।

দেশটিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম বাংলানিউজকে বলেন, উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশির সঙ্গে দূতাবাসের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। তিনি স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এবং তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

এদিকে দেশটিতে টানা তিনদিনের ছুটি থাকায় এখনো কনসুলার একসেস পাওয়া যায়নি। তবে দূতাবাস আশা করছে শীঘ্রই উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশির সাক্ষা‍ৎ পাওয়া যাবে।

এদিকে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের সংখলা প্রদেশে আবিষ্কৃত গণকবরে অন্তত ১০ বাংলাদেশির মরদেহ থাকতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে গত শুক্রবার (১ মে) সাদাও জেলার একটি দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে দালালদের একটি পরিত্যক্ত ক্যাম্পের পাশে এ গণকবরের সন্ধান পায় পুলিশ। মানবপাচারের শিকার হয়ে বাংলাদেশ, মায়ানমারসহ এ অঞ্চলের অভিবাসীরা অবৈধ পথে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী এ এলাকায় পৌঁছে জিম্মি হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অভিযান চলাকালে গণকবর খুঁড়ে অন্তত ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় গণকবরের পাশ থেকে ২৮ বছর বয়সী বাংলাদেশি যুবক আনুজার ছাড়াও উদ্ধার করা হয় দুই কিশোরকে।

মানবপাচারকারীদের হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া আনুজার বলেন, দালালদের খপ্পরে পড়ে আমরা যারা মুক্তিপণ দিতে পারিনি, তাদের ওই ক্যাম্পে বন্দি রাখা হয়েছিল। আমরা বেঁচে আছি কি মরে আছি, তার কোনো খোঁজ নিতো না দালালরা। উপরন্তু মুক্তিপণ আদায়ে সবাইকে বেদম পেটানো হতো এবং নির্যাতন করা হতো। ওই ক্যাম্পে আমরা কখনোই পর্যাপ্ত খাবার পেতাম না!

আনুজার জানান, তিনি মনে করেন পরিত্যক্ত ক্যাম্পটির পাশে ওই গণকবরে অন্তত ১০ বাংলাদেশি এবং ৩০ রোহিঙ্গার মরদেহ রয়েছে।

উদ্ধারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে সংখলা প্রদেশে অভিযান জোরদার করা হচ্ছে বলে জানায় থাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পুলিশ প্রধান জেনারেল সমিয়ত পুমপানমৌং জানান, যেখানে গণকবরটির সন্ধান মিলেছে, সেটি আসলে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প। মালয়েশিয়ায় পাচারের আগে এখানে মাটির গর্তে বাঁশের ছাউনি দিয়ে রাখা হতো অভিবাসীদের।

মাশরুম সংগ্রহে ওই এলাকায় যাওয়া গ্রামবাসী এ গণকবরের সন্ধান পায় বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৫
আরআই/

** থাই গণকবরে মরদেহের ১০টি বাংলাদেশির!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।