ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বিদ্যুতের দাম ১২.৮৬ শতাংশ বাড়ানোর পক্ষে বিইআরসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১১
বিদ্যুতের দাম ১২.৮৬ শতাংশ বাড়ানোর পক্ষে বিইআরসি

ঢাকা: গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ২১ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। তাদের এ প্রস্তাবের ভিত্ত্বিতে বিইআরসি মূল্যায়ন কমিটি ১২ দশমিক ৮৬ শতাংশ দাম বাড়ানো যায় বলে মতামত দিয়েছে।



বৃহস্পতিবার পিডিবির এ প্রস্তাব নিয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

বিইআরসি হলরুমে এ গণশুনানি গ্রহণ করছেন কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন এবং সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ ও প্রকৌশলী ইমদাদুল হক।

এতে কন্জুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ( ক্যাব), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, ডিসিসিআই ও এমসিসিআই এর প্রতিনিধি এবং ভোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পিডিবির এ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপে ৯ শতাংশ হারে, এনার্জি চার্জ, সার্ভিস ও ডিমান্ড চার্জ বৃদ্ধি এবং পরবর্তী ধাপে শুধুমাত্র ১০ শতাংশ এনার্জি চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

এছাড়া বিদ্যুতের পাইকাড়ী দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ৫০ শতাংশ হারে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

পিডিবি বিদ্যুতের এ মূল্য বাড়ানোর লিখিত প্রস্তাব জমা দেয় চলতি বছরের মে মাসের ১৬ তারিখে। পিডিবি দু’দফায় বিদ্যুতের মূল্য মোট ২১ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানায়।

দাম বাড়ানোর যুক্তি হিসেবে পিডিবি বলেছে, বিদ্যুতের বাল্ক (পাইকাড়ী) ট্যারিফ চলতি বছরে দু’দফায় প্রায় ১৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।

যার বিপরীতে গ্রাহক পর্যায়ে আন্তবর্তীকালীন হিসেবে ৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে।

গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম কম হওয়ায় পিডিবি ২০০৯-১০ অর্থ বছরে ২৮৭ কোটি ১১ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

যা ২০১০-১১ অর্থ বছরে ৩১২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং ২০১১-১২ অর্থ বছরে ৩৪১ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

প্রস্তাবে বর্তমান মূল্য (১০০ ইউনিট পর্যন্ত) ২ দশমিক ৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৮০ টাকা, ১০১ থেকে ৫০০ ইউনিট পর্যন্ত বর্তমান দর ৩ দশমিক ৪৬ থেকে ৪ টাকা করা, ৪০০ এর উপরে ১ হাজারের নিচে ব্যবহারকারীর বর্তমান দর ৫ দশমিক ৯৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৬ টাকা এবং এর ঊর্ধ্বে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীকে ৫ দশমিক ৯৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮ টাকা করা।

এছাড়া পিক-অব পিক আওয়ারে আলাদা দরসহ গ্রাহকদের ৬ শ্রেণীতে ভাগ করে আলাদা দর নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা শুনানিতে অংশ নিয়ে বলেন, পিডিবি অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতির কারণে এখনও ১৩ শতাংশ সিসটেম লস দেখানো হচ্ছে।

‘সিসটেম লসের কারণে পিডিবি লোকসান দিবে তার মাসুল গুনতে হবে ভোক্তাকে। যা কোন যুক্তিতেই মেনে নেওয়া যায়না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পিডিবির পক্ষে এ প্রস্তাব উপস্থাপন করেন পিডিবির সদস্য (বিতরণ) আবদুহু রুহুল্লাহ।

তিনি বলেন সরকার পিডিবিকে দেড় হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার কথা ছিল তা না দিয়ে ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছে। এনিয়েও সংকটে রয়েছে পিডিবি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad