ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

সিলেটে দেয়াল ধসে ঝুঁকিতে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
সিলেটে দেয়াল ধসে ঝুঁকিতে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র সিলেটের জৈন্তাপুর ১১ হাজার কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের দেয়াল ধসে পড়েছে। ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট: সিলেটের জৈন্তাপুর ১১ হাজার কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের সীমানা  দেয়াল দেবে গেছে। নির্মাণের এক বছরের মাথায় এমন অবস্থা। এ অবস্থায় চলছে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের সরবরাহ।

গত কয়দিনের টানা বর্ষণে ধসে গেছে উপকেন্দ্রের পশ্চিমের সীমানা দেয়ালটি। সংশ্লিষ্টরা বালির বস্তা দিয়ে ঠেকিয়ে রেখেছেন ভাঙন।

 

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, নির্মাণে গাফিলতির ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করেছেন কর্তৃপক্ষ। যে কারণে বছর ঘুরতেই সরকারি গুরুত্বপূর্ণ এ কাজের এমন অবস্থা।  

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৯৮৩ সালে জৈন্তাপুর উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। কিন্তু উপজেলায় অসংখ্য পাথর ক্রাশিং জোন গড়ে উঠায় লো-ভোল্টেজ সমস্যায় পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। ফলে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের শেষ দিকে  স্থানীয় সংসদ সদস্য ইমরান আহমদের প্রচেষ্ঠায় এ উপকেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু হয়।

উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় জাইকার অর্থায়নে উপকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হলেও বিভিন্ন জটিলতা কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে।  সিলেটের জৈন্তাপুর ১১ হাজার কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের দেয়াল ধসে পড়েছে।  ছবি: বাংলানিউজ
উপকেন্দ্রে নতুন সার্ভিস ব্যাকার স্থাপনের কথা থাকলেও পুরাতন জংধরা মেরামতকৃত ব্যাকার ও ট্রান্সফরমার লাগানোর অভিযোগ তুলেন স্থানীয়রা। নিম্ন মানের রড-সিমেন্ট ব্যবহারে উপকেন্দ্রের দেয়াল ধসে পড়েছে।

নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহারের ফলে কখন জানি উপকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে পড়ে, এমন উদ্বেগ প্রকাশ করে স্থানীয়রা বলেন, উপকেন্দ্র নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে।

উপকেন্দ্র নির্মাণে জড়িত একাধিক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, উপকেন্দ্রে নির্মাণে যথাযথ নির্দেশনা মানা হয়নি। নিম্ন মানের যন্ত্রপাতি ও  দেয়াল তৈরিতে যাচ্ছে তাই কাজ করেছে।

এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী রতন কুমার বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে মাটি ধসে দেয়াল ভেঙেছে। তাৎক্ষণিক মাটি ভর্তি করে ভাঙন ঠেকিয়েছি। তবে সীমানা দেয়াল ভাঙনের ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটবে না। তিন বছর আগে উপকেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়। এতে কোনো প্রকার অনিয়ম হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
এনইউ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।