ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৭
নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ বক্তব্য দিচ্ছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু-ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা

ঢাকা: নবায়নযোগ্য জ্বালানির (সোলার প্যানেল) জন্য বাংলাদেশ এখনও প্রস্তুত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অডিটরিয়ামে জাতিসংঘ যুব ও ছাত্র সংসদ বাংলাদেশ (ইউনিস্যাব) আয়োজিত ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনের (বানমুন) ২০১৭ নবম আসরের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি অত্যন্ত ব্যায়বহুল।

তাছাড়া বেশি জায়গার প্রয়োজন হয়। বড় ব্যাপার হলো ইতোমধ্যে দেশে ৪০ লাখ পরিবারে সোলার ব্যবহৃত হচ্ছে। একটা সময়ে আমাদের সেই সক্ষমতা এসে যাবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সবে মাত্র বিদ্যুতায়ন শুরু করেছি। আগামী ৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশের সিটিতে রুপান্তরিত হবে এবং আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে যাবে।

দেশে বিদ্যুতের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন ব্যাপকভাবে বিদ্যুতের সংযোগের কাজ বাড়াতে হবে। আজ ঢাকার সব সড়কে লাইটিং করা হয়েছে। দেশ অর্থনীতিতে সুনাম করছে, ক্রিকেটে বিশ্বজয় এবং হিমালয় জয় করছে। ঘরে ঘরে আলোকিত বাংলাদেশ আলো দিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি'র ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর খুরশিদ আলম, ইউএনআইসি'র সাবেক অফিসার ইনচার্জ কাজী আলী রেজা, সংসদ সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয়,  জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান, উদয়ন স্কুলের প্রিন্সিপাল ড. উম্মে সালমা বেগম, ইউনিস্যাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ শাইখ ইমতিয়াজ পিএইচডি, ইউনিস্যাবের সভাপতি মোহাম্মদ মামুন মিয়া প্রমুখ।

সমাজ বিনির্মাণে ছাত্র যুবকদের অংশগ্রহণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো 'সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল অ্যান্ড সেক্সচ্যুয়াল রিপ্রোডাকটিভ হেল্থ অ্যান্ড রাইটস'।

বিশ্ব মানবতার শান্তি রক্ষার জাতিসংঘের আদলে বাংলাদেশে ছায়া জাতিসংঘ বানমুন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবারে ছিল নবম আসর। চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনে সারাদেশের প্রায় ৫০টি স্কুল কলেজের ছয়শ'জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এসব শিক্ষার্থীরা ১১টি কমিটিতে বিভক্ত হয়ে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমুহের প্রতিনিধিত্ব করে।

অনুষ্ঠানের শেষে আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি প্রতিটি কমিটি থেকে একজন করে সেরা অংশগ্রহণকারী এবং আরও ৩০ জনের হাতে বিশেষ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৭
এএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।