ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

ছাত্রদলের ওপর হামলা রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
ছাত্রদলের ওপর হামলা রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত: ফখরুল আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনাকে রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত নেতাকর্মীদের দেখার পর বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে এ ঘটনার নিন্দা জানান।

তিনি বলেন, অত্যন্ত সফল সম্মেলন ও নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে ছাত্রদল নতুন উদ্যোগ নিয়ে নতুন একটা স্বপ্ন সৃষ্টি করে প্রবেশ করছিল। ঠিক এ সময়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিশেষ করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারিসহ নেতাকর্মীদের ওপরে যে আক্রমণ চালিয়েছে- এটা শুধু ন্যাক্কারজনকই নয়, এটা বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত মনে করছি।

ফখরুল বলেন, আমরা মনে করি, ছাত্রদলের ওপরে এই হামলা গণতন্ত্রের ওপরে হামলা। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় ২০ থেকে ৩০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বর, দোয়েল চত্বর ও টিএসসিতে দফায় দফায় এই হামলার সময় দায়িত্ব পালনরত তিন সাংবাদিকও আহত হন।

বিকেল সাড়ে ৪টায় বিএনপি মহাসচিব কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে আহত নেতাকর্মীদের দেখতে যান। তিনি তাদের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনেন।

বিএনপি মহাসচিব তাদের চিকিসার খোঁজখবরও নেন। এসময় সাবেক ছাত্রনেতা  খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহিদউদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, শহিদুল ইসলাম বাবুল, ডা. রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসও আহতদের দেখতে যান।

মির্জা ফখরুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় সন্ত্রাসী দল। ছাত্রলীগ তো বটেই। ছাত্র রাজনীতির একটা নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে যাচ্ছিল ছাত্রদল, সেই অধ্যায় বিনষ্ট করার পায়তারা এটা। কারণ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় গত কয়েকদিন ধরে আমরা যা দেখছি, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজি, সবরকমের অন্যায়-অপকর্ম তারা করছে। তারা সবসময় সন্ত্রাস করে এসছে। সেই সন্ত্রাসের একটা নজির আজকে দেশবাসী দেখতে পেলো।

আমরা বিশ্বাস করি, সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ছাত্রদল জেগে উঠেছে। এই ছাত্রদল নিশ্চয় নিঃসন্দেহে অত্যন্ত সুসংগঠিত হতে পারবে। দেশের ছাত্র রাজনীতিতে বিশেষ করে গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির ক্ষেত্রে তারা তাদের যে অবদান, সেই অবদান অবশ্যই রাখতে সক্ষম হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
এমএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।