ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

‘রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে কৌশলগত বিষয় রয়েছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৯
‘রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে কৌশলগত বিষয় রয়েছে’ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে সরকারের কূটনৈতিক কোনো ব্যর্থতার বিষয় নেই। কৌশলগত বিষয় রয়েছে এবং কৌশলী হয়ে আগাতে হচ্ছে।

শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিআরটিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগ (সিবিএ) আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

তাদের ফেরত পাঠাতে এখানে কূটনৈতিক ব্যর্থতার কোনো বিষয় নেই। এখানে কৌশলগত বিষয় রয়েছে। অনেক সময় দু’পা এগিয়ে এক পা পিছিয়ে যেতে হয়। এটিকে কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলা যাবে না। রোহিঙ্গারা কক্সবাজার সীমান্ত অতিক্রম করে আসার পর মিয়ানমার সরকার সবচেয়ে বেশি চাপ অনুভব করছে।

‘এখানে পরিবেশের বিষয় রয়েছে। মিয়ানমার সরকার সেখানে পরিবেশ সৃষ্টি করেনি, নিরাপত্তা সৃষ্টি করেনি, সিটিজেনশিপের মতো বিষয়টি সুরাহা করতে পারেনি। এজন্য তাদের বিশ্বাস করতে পারেনি রোহিঙ্গারা। তারা অত্যাচারিত নির্যাতিত হয়েছে। এর দায় মিয়ানমার সরকারকে নিতে হবে। অনেক উসকানি দেওয়া হয়েছে। আমরা যুদ্ধের পথে যাব না, শান্তির পথে আগাবো। আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখব। সেই কৌশলে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। আজকের দিনে যুদ্ধের পথে গিয়ে জয়ী হওয়া যাবে না। শান্তিকে জয় করতে হবে। ’

তিনি আরও বলেন, এই লোকগুলোকে (রোহিঙ্গা) সম্মানের সঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ফেরত পাঠাতে হবে। সে চেষ্টা চলছে। আজকে যারা বলেন এখানে কূটনৈতিক প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে, আমি বলবো তাদের এটা বিগ মিসটেক। সরকারের কূটনৈতিক প্রয়াস এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এই ব্যাপারে আমাদের মনে রাখতে হবে বিশ্বে মিয়ানমারেরও বন্ধু আছে এবং শক্তিশালী বন্ধু আছে। এশিয়াতেও বন্ধু আছে। বাস্তবতাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। দীর্ঘদিন স্বৈরাচারি শাসন কায়েম করেছে বলে তারা বন্ধুহীন এটা ভাবার কারণ নেই। আজকের পৃথিবীতে ইকোনোমিক্যাল কারণে, ফিনান্স্যিয়াল কারণে মিত্রতা হয়। সবার একটা অংক আছে, হিসাব আছে। সেই হিসাবে মিয়ানমারের বন্ধুরা কম শক্তিশালী নয়। কাজেই আমাদের কৌশলী হয়ে এগোতে হচ্ছে। ’

কক্সবাজারে যুবলীগের এক নেতা রোহিঙ্গাদের হাতে নিহত হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সেখানে রোহিঙ্গারা ১১ লাখ আর আমাদের লোক ৪ লাখ। রোহিঙ্গাদের মধ্যে সবাই যে নিরীহ-শান্ত সেটি মনে করার কারণ নেই।  তাদের মধ্যে হতাশা আছে, বেপরোয়া মনোভব আছে সেটির একটি বিচ্ছিন্ন প্রকাশ ঘটেছে। কাজেই এজন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে এটা মনে করি না। পরিস্থিতি আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বিআরটিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও অর্থ সম্পাদক সুলতান আহমদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৯
এসকে/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।