ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

‘এতো চাপাবাজি, অথচ আগুন নেভানোর উন্নত সরঞ্জাম নেই’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
‘এতো চাপাবাজি, অথচ আগুন নেভানোর উন্নত সরঞ্জাম নেই’ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ফাইল ফটো

ঢাকা: উন্নয়নের মহাসড়কে আছে দেশ, বলে বলে চাপাবাজি করলেও ২২ তলা ভবনে আগুন নেভানোর আধুনিক সরঞ্জাম নেই- মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, এই সরকার আসলে দুর্নীতির মহাসড়কে হাঁটছে বলেই সাধারণ মানুষের এতো মরদেহের স্তুপ।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এফআর টাওয়ারে অগ্নিনির্বাপণ ও হতাহতদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসসহ উদ্ধারকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, কর্মীরা প্রাণান্তকর চেষ্টা চালালেও আগুন নেভাতে ও মানুষ উদ্ধারে সরকার আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আধুনিক যন্ত্রপাতি ও দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়ার কোনো লেটেস্ট ডিভাইস নেই। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মীদের দ্রুত পৌঁছানোর জন্য কোনো উন্নতমানের বিকল্প ব্যবস্থা নেই। আগুন নেভাতে উন্নত ও স্বয়ংক্রিয় মই পর্যন্ত নেই। সবই সেকেলে ও মান্ধাতার আমলের।

***কোড না মেনে ভবন, মালিককে গ্রেফতারের দাবি নাসিমের

তিনি বলেন, ভবনের আগুন নেভাতে গিয়ে হেলিকপ্টারে বালতি ঝুলিয়ে হাতিরঝিল থেকে পানি নেওয়ার চেষ্টা করা হলো। কিন্তু ভবনে নেওয়ার আগেই ওই বালতি থেকে সব পানি ঝরে গেলো। অথচ উন্নত দেশে আগুন নেভাতে ও মানুষ উদ্ধারে কতো আধুনিক সরঞ্জাম ও ব্যবস্থাপনা দেখতে পাওয়া যায়। এর আগে আগুনে অসংখ্য মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর পরও বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিক যন্ত্রপাতিতে উন্নত করেনি। যদি করতো, তাহলে এতো মানুষের আগুনে পুড়ে প্রাণ যেতো না।

রিজভী বলেন, গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে দমন করার জন্য কতো যে আধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছে, তার শেষ নেই। নিয়ে আসা হয়েছে সর্বাধুনিক বিপজ্জনক টিয়ারশেল, স্মোক গ্রেনেড, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, গোলমরিচ-স্প্রেসহ নানা ধরনের আধুনিক অস্ত্র। বিএনপিসহ বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য, মানুষ হত্যার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে ৩০ হাজার আধুনিক মরণঘাতী ১২ বোর শর্টগান। শর্টগানের জন্য ৩০ লাখ কার্তুজ আমদানি করা হয় হাজার কোটি টাকা শ্রাদ্ধ করে। স্বীকারোক্তি আদায় বা নির্যাতনের জন্য আনা হয়েছে ইলেকট্রিক চেয়ার ও ইলেকট্রিক শক দেওয়ার অত্যাধুনিক ডিভাইস। বিরোধী দলের ফোনে আড়িপাতার জন্য বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত যন্ত্রপাতি নিয়ে আসা হয়েছে। গোপনে অডিও-ভিডিও করার উন্নতমানের ডিভাইস নিয়ে আসা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার বিভিন্ন বাহিনীকে হেলিকপ্টার দেওয়া হয়েছে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে। অর্থাৎ মানুষ হত্যার জন্য ব্যয়বহুল আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে, কিন্তু মানুষ বাঁচানোর জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতির কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, যে সরকার দাবি করে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে মহাকাশ জয় করেছে, অথচ মানুষ বাঁচানোর জন্য তাদের কোনো আগ্রহ নেই। দেশের জনগণ মনে করে এই আগুনে পুড়ে মানুষ মরার দায় শেখ হাসিনা সরকারের। বিশ্বের মধ্যে দুষিত শহর ঢাকা, ধুলাবালির শহর ঢাকা, ধোঁয়ার শহর ঢাকা, বসবাসের অযোগ্য শহর ঢাকা। যারা মধ্যরাতে ভোট করে, তারা গণবিরোধীই হয়। সেজন্য মানুষ বাঁচাতে তারা কোনো দায়বোধ করে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
এমএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।