ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

প্রয়োজনে নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনের হুমকি বাম জোটের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৮
প্রয়োজনে নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনের হুমকি বাম জোটের গণভবনে সরকারি জোটের সঙ্গে আট দলীয় বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে সংলাপ-ছবি-পিআইডি

ঢাকা: প্রয়োজনে নির্বাচন বয়কট করে আট দলীয় বাম গণতান্ত্রিক জোট আন্দোলনের জন্যও প্রস্তুত জানিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘বল এখন প্রধানমন্ত্রীর কোর্টে।’

সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠন, মিথ্যা-গায়েবি মামলা বন্ধ করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে এ জোট।
 
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) গণভবনে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারি জোটের সঙ্গে আট দলীয় বাম গণতান্ত্রিক জোটের সংলাপ শুরু হয়ে সাড়ে ১০টায় শেষ হয়।


 
সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘আমরা আমাদের বক্তব্য সুস্পষ্টভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছি। এখন বল তার কোর্টে। তিনি এগুলো বিবেচনা করে কি সিদ্ধান্ত নেন তার ওপর নির্ভর করছে আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে কি হবে না। ’ 
 
তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত আছি। পরিস্থিতি অনুকূল না হলে সেটা বয়কট করার জন্যও প্রস্তুত আছি। ’
 
সিপিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করে থাকবো প্রধানমন্ত্রী আমাদের কথা কতটুকু বিবেচনায় নিয়েছেন। ’ 
 
সংলাপে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করা, মিথ্যা-গায়েবি মামলা ও বিরোধী জোটের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধসহ জোটের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।  
 
সাইফুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পরে তিনি কিভাবে দেখছেন তার ওপর নির্ভর করে আমরা আমাদের আন্দোলনে করণীয় ও রাজনৈতিক করণীয় নির্ধারণ করবো। ’ 
 
তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন করতে চাই, নির্বাচনের জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করার জন্য সংলাপ করছি, রাজপথে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছি। ’ 
 
বাম জোট সমন্বয়ক বলেন, ‘আমরা এখনও আশা করতে চাই, যে শেষ মুহূর্তে হলেও সরকারের সদিচ্ছা জাগ্রত হবে। এবং তারা উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। ’
 
‘আমাদের দাবি-দাওয়া লিখিতভাবে জানিয়েছি। আশা করি, সরকার কার্যকর উদ্যোগ নেবে। ’
 
অন্যদের মধ্যে সংলাপে উপস্থিত ছিলেন-সিপিবি সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আকবর খান, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটি সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্তী ও আলমগীর হোসেন দুলাল, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, আব্দুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য মোমিনুর রহমান বিশাল, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রনজিৎ কুমার।
 
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৮/আপডেট: ০২৩৪ ঘণ্টা
এমইউএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।