ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

বিদেশে দৌড়ঝাপ করে লাভ হবে না: ড. হাছান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
বিদেশে দৌড়ঝাপ করে লাভ হবে না: ড. হাছান আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ

ঢাকা: আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাসেলস এবং লন্ডন ঘুরে কোনো লাভ হবে না। সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না।

তিনি বলেন, ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের মতো যে সরকার নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনা করে আসছে সেই সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। আমাদের দেশেও আমাদের সংবিধানের আলোকে বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সুতরাং এ নিয়ে বিদেশে দৌড়ঝাপ করে কোনো লাভ হবে না।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার পর মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধচারী, পাকিস্তানিদের দোসর এমনকি পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের ডেপুটি লিডার শাহ্ আজিজুর রহমানকে তার মন্ত্রিসভার প্রথম প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন এবং যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধচারণ করেছিল তাদের সবাইকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তার এ সমস্ত কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন। পরবর্তীতে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে যারা এই দেশ এবং দেশের পতাকাটাই চায়নি সেই মতিউর রহমান নিজামী এবং কামারুজ্জামানকে মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে লাল সবুজের সূর্যখচিত সবুজ পতাকা লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এটি শুধু জাতির সাথে প্রতারণাই নয় ফৌজদারি অপরাধেরও সামিল এবং তাদের সহিংসতার অভ্যাস তারা এখনো অব্যাহত রেখেছে। সেই কারণেই এরা যুদ্ধের সময় মানুষের ঘর-বাড়ি পুড়িয়েছে আর এখন মানুষের গায়ে পেট্টোল ঢেলে দিয়ে জীবন্ত মানুষকে জ্বালিয়ে দিচ্ছে।

বিএনপিতে অনেক নেতা আছেন যারা মুসলিম লীগ ও জামাতের পরবর্তী প্রজন্ম মন্তব্য করে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির অনেক নেতা মুসলিম লীগ ও জামাতের পরবর্তী প্রজন্ম। আর বিএনপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অনেক নেতা আছেন যাদের পরিবার হয় মুসলিম লীগ ব্যাকগ্রাউন্ড অথবা পাকিস্তানি পক্ষ অবলম্বনকারী বিভিন্ন দলের ব্যাকগ্রাউন্ড। আর কিছু আছে সুযোগসন্ধানী।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জান দুর্জয়ের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দারসহ বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।